সাংবাদিক জামালের মৃত্যু বার্ষিকী ঘিরে বিশেষ দোয়া ও ফাতেহা

90

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটির সাংবাদিক শহীদ মো. জামাল উদ্দীনরে মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এতিমখানায় দোয়া ফাতেহার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাঙামাটি হামিউস্সুন্নাহ ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা এ দোয়া ফাতেহার আয়োজন করেন সাংবাদিক জামালের ছোট বোন সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু। এসময় দোয়া ও ফাতেহা পরিচালনা করেন রাঙামাটি হামিউস্সুন্নাহ ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির অধ্যক্ষ হাফেজ মওলনা রাখিবুল ইসলাম। এতে ইমাম ও রাঙামাটি হামিউস্সুন্নাহ ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা মওলনা আব্দুর সবুর, মওলনা আজিজুর রহমান, মওলনা খালেদসহ সাংবাদিক জামালের ভাই মো. সালাউদ্দীন করিম আবু, এম কামাল উদ্দীন আকাশ ও মো. জাবেদ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে আমার ভাই সাংবাদিক মো. জামাল উদ্দীন হত্যাকান্ডের কোন বিচার হয়নি। ধরা পরেনি মুল আসামিরাও। কিন্তু আমরা আশা ছাড়িনি। হয়তো সৃষ্টিকর্তা হত্যাকারিদের উত্তম বিচার করবেন। তিনি আরও বলেনম আমার সাংবাদিক জামালের মৃত্যু বাষির্কী আগামী ৬মার্চ। কিন্তু আমরা ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে তোর দ্’ুদিন আগেই জন্য গাউছিয়াখতম, দোয়া ও ফাতেহার আয়োজন করেছি। এবার রাঙামাটি হামিউস্সুন্নাহ ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় করার কারণ হচ্ছে এতিম বাচ্চাদের খাওয়ানো। আমি বিশ^াস করি এতিম নিষ্পাপ বাচ্চাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন। আমার ভাইকে তিনি জান্নাত দান করবেনা। এ আয়োজনে ৪৫জন এতিম বাচ্চাসহ মোট ৫০জন অংশগ্রহন করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৭সালে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয় বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি, বার্তাসংস্থা আবাস ও দৈনিক বর্তমান বাংলা রাঙামাটি প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক গিরিদর্পণ প্রত্রিকার বার্তা প্রধান ছিলেন সাংবাদিক মো. জামাল উদ্দীন।