॥ আলমগীর মানিক ॥
অতিবর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাঙামাটির সাজেকে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা ডুবে গিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় শ’য়ের মতো পর্যটক সাজেকে আটকা পড়ে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেলসহ গণমাধ্যমে সাজেকে ৭ থেকে ৮ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে উল্লেখ করে খবর প্রকাশ হওয়ায় সারাদেশে সাজেক নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বিভ্রান্তিকর এমন তথ্যেরাঙামাটির পর্যটন সেক্টরেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এই বিষয়ে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, একটি পক্ষ সাজেকে পর্যটক যাওয়া কমিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মূলত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রতিদিন সাজেকে যাওয়ার সময় বাঘাইহাট জোনে পর্যটকসহ তাদের বহনকারি গাড়ির তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। নিরাপত্তাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সোমবার (১ জুলাই) সাজেকে মোট ৭৮জন পর্যটক প্রবেশ করেছে। তার মধ্যে পুরুষ-৪৮ জন, মহিলা-৩০ জন। ২টি জীপ, ৬টি সিএনজি, ৩টি মাইক্রো ও ৪টি বাইক নিয়ে সর্বমোট ১৫টি যানবাহন সাজেকে প্রবেশ করেছে। সোমবার বিকেলে সাজেকে কোনো বিদেশী পর্যটক প্রবেশ করেনি। এছাড়া আগে থেকে ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছিলো। সবমিলিয়ে দেড় শতাধিক পর্যটক মঙ্গলবার সকাল থেকে সাজেকে আটকে রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে রাঙামাটির পর্যটন উদ্যোক্তাদের সংগঠন টোয়ার এর সহ-সভাপতি ও সাজেকের পর্যটন উদ্যোক্তা পারভেজ আহম্মেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রকৃত তথ্য হলো সবমিলিয়ে ১৫০ জনের মতো পর্যটক আটকে আছে এবং তাদের সুবিধার লক্ষ্যে হোটেল ভাড়া নেওয়া হচ্ছেনা শুধুমাত্র পানি খরচ বা নিজস্ব খরচটাই পর্যটকদের ব্যয় করতে হচ্ছে। তিনি জানান, প্রকৃত চিত্র না জেনে শুধুমাত্র শোনা কথার ভিত্তিতে সাজেক নিয়ে অনুমান নির্ভর খবর প্রকাশ করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে করে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির অর্থনীতির চরম ক্ষতির পাশাপাশি দেশ-বিদেশে পাহাড়ের পর্যটন সেক্টর নিয়ে নীতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে যাহা মোটেও মঙ্গলজনক নয়।
এদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীণ আক্তার জানিয়েছেন, সাজেকে শতাধিক পর্যটক আটকে আছে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।