ঢাকা ব্যুরো অফিস, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : আজ ১৩ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় ৫৩টি বেসরকারী ও মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্লাটফরম সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভ অন সিডও, বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘‘সিডও সনদ’র পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন চাই’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অষ্টম সিডও শ্যাডো রিপোর্টের উপর জাতীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশিনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি ইউএন মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপি’র হিউমেন অ্যাডভাইজার মিকা কানেভাভোওরি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একে এম নেছারউদ্দিন ভূঁইয়া, ইউএনইউইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন সুসান হান্টার।
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) বিষয়ক বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম সাময়িক প্রতিবেদনের উপর বক্তব্য রাখেন ইউএনসিডও কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সালমা খান, আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হামিদা হোসেন, কেম্পির নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরি, অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ¯েœহাল ভি সোনিজি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম, উইমেন ফর উইমেনের সভাপতি জাকিয়া কে হাসান, মাননীয় সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির, ব্র্যাকের পরিচালক শিফা হাফিজা, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আজগর আলী সাবরি, কেয়ার বাংলাদেশের ডিরেক্টর হোমায়রা আজিজ, নারী পক্ষের সদস্য রীতা দাশ রায়, এনএফওডব্লিউডি এর নাজমা আরা বেগম পপি এবং বার্সিক এর ফেরদৌসি আক্তার রীতা। সভাটি পরিচালনা করেন স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার।
সভায় বক্তারা সিডও সনদের সংরক্ষিত ২টি ধারা ধারা ২ ও ধারা ১৬, ১ (গ) থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন এই সংরক্ষণ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সভায় বক্তারা সরকারি প্রতিবেদনের উপর সিআইসি-বিডির কিছু পর্যবেক্ষণের আলোকে বক্তব্য রাখেন যে বিষয়গুলোর উপর তারা বক্তব্য রাখেন। সেগুলো হলো সিডও সনদের সংরক্ষিত ধারা থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার, বৈষম্যমূলক আইন, প্রচলিক গৎবাঁধা ধারণা ও নেতিবাচক চর্চা, নারী নির্যাতন, পাচার ও যৌন শোষণ, রাজনীতি ও জনজীবনে অংশগ্রহণ, নাগরিকত্ব, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ নারী, সুবিধাবঞ্চিত নারী, বিয়ে এবং পারিবারিক সম্পর্ক, অভিবাসী নারী, সহস্্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য এবং প্রচার।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, সিডও সনদের সংরক্ষিত ধারা থেকে অনতিবিলম্বে সরকারকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করতে হবে। যেহেতু সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে সেহেতু এই সংরক্ষণ প্রত্যাহারে কোন সম্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে সেখানে সরকার যদি সিডও সনদের ধারা ২ থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার না করে তাহলে তা খুব একটা ইতবাচক কিছু বহন করবে না।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান