স্টাফ রিপোর্ট- ৪ এপ্রিল ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি: বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করার উদেশ্যে ‘হানড্রেড মিলিয়ন ফর হানড্রেড মিলিয়ন’ ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু করলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী । মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু করেন।
‘১০ কোটি শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের জন্য আমরা ১০ কোটি, আমাদের ভবিষ্যৎ আমরাই গড়বো’ স্লোগানে এ ক্যাম্পেইনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে গণসাক্ষরতা অভিযান। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম ও পাচারসহ সব প্রকার নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে কয়েকটি দেশের সিভিল সোসাইটিকে নিয়ে ‘হানড্রেড মিলিয়ন ফর হানড্রেড মিলিয়ন’ ক্যাম্পেইনটি শুরু করেছি। ক্যাম্পেইনটি শুরুর আগে অনেক গবেষণা এবং সুনির্দিষ্টভাবে সমস্যাগুলোকে বুঝতে চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া বিষয়গুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টাও করা হবে। ফলে এ ক্যাম্পেইনে শতভাগ সফলতার আশা রয়েছে। কৈলাশ সত্যার্থী বলেন, বর্তমান বিশ্বে ২৫ বছরের কম বয়সী মানুষ বা যুব সম্প্রদায়ের সংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি, যাদের বড় অংশই সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এবং তারা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ১০০ মিলিয়নের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের সঙ্গে জড়িত, যার মধ্যে ৫ মিলিয়ন শ্রমদাস হিসেবে কাজ করছে। এর মধ্যে অন্যতম বঞ্চিত রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা।
তিনি আরও বলেন, এখনও বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়নের বেশি শিক্ষার্থী স্কুলের বাইরেই রয়ে গেছে। গত ১০ বছরে ২ মিলিয়ন শিশু মারা গেছে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সহিংসতায়। মেয়ে শিশু ও নারীর ওপর নির্যাতনের হারও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এসব বিবেচনায় আমাদের এ ক্যাম্পেইনে ১০টি দেশকে একত্রিত করেছি।‘এছাড়া ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যারা নেতৃত্ব দেবে সেই যুব সম্প্রদায়ের ১০০ মিলিয়ন সদস্যকে সম্পৃক্ত করে সুবিধাবঞ্চিত ১০০ মিলিয়ন শিশু-কিশোর-যুবদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে এ ক্যাম্পেইন।’
বাংলাদেশে গণসাক্ষরতা অভিযান এ ক্যাম্পেইনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী। এক প্রশ্নের জবাবে কৈলাশ সত্যার্থী বলেন, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম। এ ক্যাম্পেইন প্রথমে ভারতে শুরু হয়। এবার বাংলাদেশে শুরু হলো। কিছু শিশু সুবিধাবঞ্চিত আর কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত। আমরা এসব বৈষম্য কাম্য করি না। সকলের মৌলিক অধিকার আদায়ে এ ক্যাম্পেইন কাজ করবে।
এর আগে গত রোববার ঢাকায় সেন্ট জোসেফ স্কুলে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়। মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশে এর আনুষ্ঠানিক ক্যাম্পেইন শুরু হলো। সংবাদ সম্মেলনে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান । সুত্র- অন্যমিডিয়া