স্বাধীন বাংলাদেশকে পঙ্গু করে রাখতেই পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়: এমপি দীপংকর

117

॥ আলমগীর মানিক ॥

শত বাঁধা বিপত্তি তৈরি করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা রুখতে না পেরে স্বাধীন বাংলাদেশকে পঙ্গু করে রাখার লক্ষ্যেই পরিকল্পিতভাবে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাঙামাটি জেলা শাখা ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার বিকেলে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এমপি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস আওয়াামী লীগ তথা মুজিব আদর্শের সকলের কাছে একটি চেতনা। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বিনয় এবং শ্রদ্ধায় জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে যারা বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে আছে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করে দেশকে কলংকমুক্ত করা হবে।

এসময় রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির সভাপতিত্বে এবং সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ রফিকুল মাওলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপক চাকমা, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনছুর আলী, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি জাহিদ আকতার, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোহিতা দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, জেলা যুবলীেেগর সাধারন সম্পাদক নূর মোহাম্মদ কাজল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনসুর আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল হক বাবু প্রমূখ।

সভার আগে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালনসহ শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।