স্মার্ট রাঙামাটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনে মত বিনিময় সভা

101

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

২০৪১ সাল নাগাদ একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার বিষয়ে সরকারের নতুন রূপকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে স্মার্ট রাঙামাটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাঙামাটিতে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলাপ্রশাসক রাঙামাটি মোহাম্ম মিজানুর রহমান প্রত্যয়ের সাথে বলেন, আমরা রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্পকে ঘিরেই স্মার্ট রাঙামাটি গড়ে তোলার প্রথম পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের যাত্রায় আমাদের দীর্ঘ সময় রয়েছে, প্রাথমিকভাবে নানা সীমাবদ্ধতাও থাকবে, তবে ঘাটতিকে বাধা হিসেবে নয়, বরং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শহর রাঙামাটিকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে সকল সরকারি দপ্তরসহ নানা শ্রেণির অংজনদের আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

রোববার (০৫মার্চ) বিকেলে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিসি এমন মন্তব্য করেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা, শিমুল ভৌমিক, রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তুষার কান্তি বড়ুয়া, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুজিত ত্রিপুরাসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা বক্তব্যে অংশ নেন।

সভায় তিনটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অংশিজনদের সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প তুলে ধরা হয় এবং আগামী মাসের মধ্যে স্মার্ট রাঙামাটি গড়ে তোলার কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের কথা জানানো হয়।

এ সময় বলা হয়, ‘২০৪১ সাল নাগাদ একটি উদ্ভাবনী ও জ্ঞান-ভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার বিষয়ে সরকারের নতুন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে সকল বিভাগকেই সম্পৃক্ত হতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার ইতোমধ্যে চারটি ভিত্তি ঠিক করেছে। এগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। প্রাথমিক পর্যায়ে নাগরিক সেবা সহজীকরণ করার মধ্য দিয়ে এ যাত্রা শুরু হবে। সরকারি সেবা সহজিকরণ করার পাশাপাশি সরকারের বড় বড় প্রকল্পগুলো ‘স্মার্ট সিটি’ ও স্মার্ট ভিলেজ’ গড়তে সহায়তা করছে।