মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ২৩ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : পার্বত্য জনপদ রাঙামাটির পর্যটন শিল্পের অনেকখানিই আবর্তিত হয় রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটিকে কেন্দ্র করে। রাঙামাটিতে পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্ধু এই ঝুলন্ত সেতুটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটকরা এ সেতুটি দেখার জন্য রাঙামাটিতে আসেন। দীর্ঘ তিনমাস ধরে পানির নীচে ডুবে থাকার পর শীতের আমেজে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে শুরু করায় ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের স্বাগত জানাতেই যেন ভেসে উঠছে। এবার পর্যটকদের স্বাগত জানানোর প্রহর গুনছে ঝুলন্ত সেতুটি।
রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানির নিচে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকার ফলে পর্যটন কর্পোরেশন ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শীতের মৌসুমে কাপ্তাই হৃদের পানি কমতে শুরু করায় ভেসে উঠেছে ঝুলন্ত সেতুটি। তিনি আরো বলেন, সেতুটির থেকে পানি সরে যাওয়ায় এটি মেরামত করে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে। পিএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ফলে পর্যটকের সমাগম কম। পরীক্ষা শেষে আবারো পর্যটন কর্পোরেশন মেতে উঠবে।
সেতুটি ভবিষ্যতে যাতে ডুবে না যায় সে ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৯৮৬ সালে। তবে আমাদের এবার প্রচেষ্টা চলছে বর্ষা মৌসুমে সেতুটি যেন না ডুবে। সেজন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি সেতুটি অনতিবিলম্বে ৬-৭ ফুট ওপরে তোলার জন্য অথবা একটি আধুনিক মানের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করার।
টিকেটের দাম বৃদ্ধির ব্যপারে ব্যবস্থাপক বলেন, প্রায় ছয় বছর পর বর্তমান বাজার এবং বাস্তব প্রেক্ষাপট চিন্তা করে এবারে টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটক রাশেদ-শম্পা দম্পতি জানান, সূদর রাজশাহী থেকে বেড়াতে এসেছি রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু এবং পাহাড় দেখার জন্য। এখন অনেক ভাল লাগছে ঝুলন্ত সেতুটি দেখার পর। চট্টগ্রাম থেতে আসা একদল ছাত্ররা জানান, প্রতি বছর পাহাড় ঘেরা রাঙামাটিতে আসি ঝুলন্ত দেখার জন্য। পাশাপাশি এখানকার সবুজ ঘেরা পাহাড়ের নীরবতা, পরিছন্ন শহর মুগ্ধ করে তোলে। কুষ্টিয়া থেকে আসা একদল ব্যবসায়ী জানান, রাঙামাটি শহর বাংলাদেশের অন্যান্য শহর থেকে ভিন্ন। শহরটা অনেক ভালো লাগে।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান।