হ্রদের ২০ সহস্রাধিক জেলের খাদ্যশষ্য বরাদ্দের ঘোষণা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে

550

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুধবার পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে জাতীয় মৎস সপ্তাহ ২০১৭ শুরু হয়েছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং জেলা মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র রাঙামাটির উদ্যোগে এই সব কর্মসূচী পালন করে। বুধবার সকালে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য র‌্যারী বের করা হয়।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে শিল্পকলা সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
পরে “মাছ চাষে গড়বো দেশ-বদলে দিব বাংলাদেশ” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য দীপংকর তালুকদার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, বিএফডিসি, রাঙামাটির ম্যানেজার কমান্ডার মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান ও মৎস্যজীবি শহুর আলী বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন কাপ্তাই হ্রদে মাছ চাষের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য আওযামী লীগ সরকার ইতিপূর্বে ৭০ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে যে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেচিণ তা বাস্তবায়নে হ্রদের মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা দেখা দিয়েছে।

কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমের সময় ২০০৯ সাল থেকে জেলেদের খাদ্যশষ্য বিতরণ কর্মসূচী চালু করা হলেও স্বার্থান্বেষী একটি মহল সরকারের এই সফলতাকে নিজেদের  বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন চলতি মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমের তিন মাস সময়কালের জন্য হ্রদের ২০সহস্রাধিক জেলেদের তিনমাসের জন্য যে খাদ্য শষ্য বরাদ্দের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে।