১ম ও ২য় শ্রেণির পদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকুরী কোটা পুণর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

451

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি পদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা পুনর্বহালের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রেরণের উদ্যোগ নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি। রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা।

রোববার (১৩ জুন) সকালে রাঙামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি ও বিপনেট এর আয়োজনে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মংসানু চাকমা, পার্বত্য চট্টগাম বন ও ভুমি রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের সরকারি চাকুরীর প্রথম ও ২য় শেণির পদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষিত ছিল; কিন্তু ২০১৮ সালে এক প্রজ্ঞাপনে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী কোটা বিলুপ্ত করা হয়। এতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বৈষম্যর শিকার হচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা বাতিল করার ফলে এসডিজি অর্জন ব্যাহত হবে বলে নেতৃবৃন্দ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।

সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলে সময় প্রধানমন্ত্রী বলে ছিলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখে জানতে চাই, কি আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সে বিষয়ে আমরা অন্ধকারে আছি। তারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরির ক্ষেত্রে ৫শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবি জানান।

চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। এ অবস্থায় কোটা বিলুপ্তির ফলে তারা আরো বঞ্চিত হবে। কোটা বিলুপ্তির আগে আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হোক।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, দেশে কোটা বিলুপ্তির পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। বাংলাদেশে ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। এর আগে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে কোটা পুনর্বহালের বিষয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।