২৫ মার্চের গণহত্যায় শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো ‘জীবন’

660

স্টাফ রিপোর্টার 

একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঠাণ্ডা মাথায় নিরস্ত্র, নিরপরাধ ও ঘুমন্ত সাধারণ বাঙালির ওপর যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যার নজির। ২০১৭ সাল থেকে এ দিনটি ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করা হচ্ছে। একটি জনগোষ্ঠীর স্বাধিকারের দাবিকে চিরতরে মুছে দিতে ঢাকায় চালানো ওই হত্যাযজ্ঞের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’। ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। পোড়া মাটি নীতি নিয়ে নেমেছিলো পাকিস্তানি ঘাতকরা। সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাকিস্তানি নর ঘাতক জেনারেল টিক্কা খান বলেছিলেন, ‘আমি পূর্ব পাকিস্তানের মাটি চাই, মানুষ চাই না’। ফলশ্রুতিতে বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত্রি। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। ২৫ মার্চ কালরাত ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে গণহত্যায় নির্বিচারে প্রাণ হারানো সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার উদ্দেশ্যে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্তরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন Jibon”জীবন”।

j2

সংগঠনের সদস্যরা নারকীয় হত্যাযজ্ঞের জন্য তৎকালিন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রতি ধিক্কার জানান। সংগঠনের কর্মসূচীর সাথে একাত্বতা করেন শিক্ষাবিদ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, ওয়ান বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি টুকু তালুকদার, সাবেক প্রেসক্লাবের সভাপতি সুনীল কান্তি দে সহ রাঙামাটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

j3

শহীদ বেদিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি) শপথবাক্য পাঠ করান। সকলে মিলে শপথ নেন, যেকোন পরিস্থিতিতেই দেশের স্বার্থই সবার আগে বিবেচনা করেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করার।

এছাড়াও কাউখালী উপজেলায় সংগঠনের সদস্যরা কাউখালী শহীদ মিনারে একই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে বলে অবহিত করেছেন কাউখালী শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আগামীকাল ২৬ মার্চ একাধিক কর্মসূচি পালন করবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন Jibon”জীবন”।

উল্লেখ্য, সামাজিক কাজে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৮ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে পার্বত্যাঞ্চলের সংগঠনটি।