ঢাকা ব্যুরো অফিস, ৩ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : ৫ জানুয়ারির সমাবেশ রাজধানীর সোহরাওর্য়াদী না হলে নয়াপল্টনে অনুমতি দিলেও আপত্তি নেই বিএনপির। জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রিজভী বলেন, ৫ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপির সমাবেশ করার ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যে একই স্থানে সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিষয়টির এখনো কোনো সুরাহা না হলেও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বছর ঠিক একইভাবে পাল্টাপাল্টি এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস হয়ে ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গন। এর জের ধরে বিএনপির টানা তিনমাসের হরতাল-অবরোধে অস্থির সময় পার করে দেশের জনগণ। রিজভী বলেন, বিএনপির জনসভার জায়গায় আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ডেকে মুলত পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে সংঘাত সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি শান্তি চায়। সেজন্য সংঘাত এড়াতে প্রয়োজনে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চাইছে। এবার দেখা যাবে তারা কতটুকু শান্তির পক্ষে। সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, শান্তির জন্য সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতে শান্তিপূর্ন জনসভার অনুমতি দিন। এটি গণতান্ত্রিক অধিকার, এতে বাধা দেবেননা। যদি মনে মনে করেন, সোহরাওয়ার্দীতে অনুমতি দিতে পারবেন না, তাহলে নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে দিন। কোনো আপত্তি নেই। কিন্ত বিরোধী দলের যে আইনগত অধিকার সেই অধিকার হরণ করবেন না।
বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবসের কর্মসূচি বানচাল করতে শাসকদল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। শেষ পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি না পেলে বিএনপি পরিকল্পনা জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই। কারন অনেক সময়ে সমাবেশের আগের রাতে অনুমতি মেলে। সেজন্য এখনই কোনো কর্মসূচির কথা চিন্তা করছিনা। সমাবেশের জন্য আমাদের অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন প্রস্ততি নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবেদ রাজা প্রমুখ।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান