॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
গুইমারা রিজিয়ন এবং বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৬৫০টি পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করেছে। মঙ্গলবার (০৮ই নভেম্বর ২০২২) সকাল থেকেই গুইমারা সরকারি কলেজ মাঠে গুইমারা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর যৌথ আয়োজনে এ সময় বক্তব্য রাখেন, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামাল মামুন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোতাছেম বিল্যাহ,গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ন ত্রিপুরা,গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রশিদ,খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনী শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে। একই সাথে পাহাড়ি জনপদের মানুষের মূখে হাঁসি ফোঁটাতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এ অঞ্চলকে অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যাবে। পাহাড়ের মানুষও এগিয়ে যাবে অনেক দুর।
স্থানীয় ৩শ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ৩শ পরিবারকে ১০ টাকার সুপারশপ হতে ব্যাগ ভর্তি বাজার (এক টাকায় চাল, দুই টাকায় ডাল এভাবে ১০ টাকার পণ্য ক্রয় সুবিধা দেন। বর্তমান বাজারের (যার বাজার মূল্য ৫০০-৬০০ টাকা) এবং ৫০টি পরিবারকে সম্প্রীতি বিপনীর মাধ্যমে সর্বমোট ৬৫০টি পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয় এতে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় স্থিতিশীল শান্তি,সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন গুইমারা রিজিয়ন বিভিন্ন আভিযানিক কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী পালন করে আসছে বলেও এতে তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ির গুইমারাতে যাত্রা শুরু করলো সম্প্রীতি বিপণী। পাহাড়ে আনাচে কানাচে যুগযুগ ধরে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য। সম্প্রীতি বিপণীতে দেখা মিলবে এসকল কুটির শিল্পের। এ সময় নানা মূখী কার্যক্রমের কার্যপরিধি ও পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরা হয়। গুইমারা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দের বিভিন্ন প্রজেক্টের উৎপাদিত পণ্য থাকবে সম্প্রীতি বিপণীতে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের নিরাপত্তা, শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে বলে এতে জানানো হয়।