রাঙামাটিতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সাথে পিআরএলসি প্রকল্পের যৌথ সভা

2

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির (ডিএনসিসি) সাথে পিআরএলসি প্রকল্পের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে গ্রামীন মানুষের ফলিত পুষ্টি নিশ্চিত করতে ‘অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সহনশীল জীবিকার জন্য সহায়তা’ (পিআরএলসি) শীর্ষক এ প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য সভায় ডিনএনসিসির সহযোগীতা কামনা করা হয় এবং পুষ্টির ক্ষেত্রে সমস্যায় থাকা পার্বত্য তিন জেলায় সাধারণ মানুষের মাঝে পুষ্টি সচেতনতা, প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ এবং পুষ্টির সরবরাহ নিশ্চিত করতে করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক ও পুষ্টি সমন্বয় সভাপতি সভাপতি মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ সভায় পিআরএলসি প্রকল্পটির মেয়াদকাল, কার্য এলাকা এবং ইতোমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ ও অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
সভায় জানানো হয়, ইউরোপিয় ইউনিয়নের সহযোগীতায় ‘অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সহনশীল জীবিকার জন্য সহায়তা’ নামের এ প্রকল্পকি পার্বত্য তিন জেলার মোট ৮টি উপজেলায় পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রাঙামাটি জেলার সদর, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি, বান্দরবান জেলার লামা, থানচি ও খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি, গুইমারায় প্রকল্পটি পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত চলবে।
সভায় পুষ্টি সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ নুয়েন খীসা, রাঙামাটি জেলার এডিসি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ বিভিন্ন সরকারী সেবাপ্রদানকারী দপ্তরের কর্মকতাগণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় পিআরএলসি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস্-এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প সমন্বয়কারী নিখিল চাকমাসহ টংগ্যা, প্রোগ্রেসিভ এবং হিল ফ্লাওয়ারে প্রকল্প সমন্বয়কারীগণ এবং মাঠ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ নিয়মিত জেলাপুষ্টি সমন্বয় পরিষদ সভা আয়োজন, দূরবর্তী এলাকায় পুষ্টি কার্যক্রম নিয়মিত করার বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ এবং সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও খাদ্যভ্যাসের মাধ্যমেও পুষ্টি ঘাতটি পুরণ করা যায় বলেও বক্তাগণ মত প্রকাশ করেন।
সভাপতি বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক বলেন, পার্বত্য এলাকায় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য জেলার তুলনায় এ জেলায় পুষ্টি ঘাটতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, সরকারী-বেসরকারী এতো সংস্থা কাজ করার পরও পরিস্থিতির উত্তরণ না হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করে আমাদের কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তিনি জনগণের পুষ্টি নিশ্চিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের সকলের প্রোএ্যাকটিভ ভূমিকা কামনা করেন।
পিআরএলসি প্রকল্পের সমন্বয়কারী বিধান চাকমা ও ফুল্লরা চাকমার সঞ্চলনায় সভায় পুষ্টি সংক্রান্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর টেকনিক্যাল অফিসার রিমি চাকমা।