সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের মৃত্যুতে বিভিন্ন জনের শোক

729

॥ ইকবাল হোসেন ॥
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। শনিবার এবিষয়ে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মহোদয় মৃত্যুবরণ করেছেন শুনে আশিম খুবই আশাহত হয়েছি। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
শোক বার্তায় উপজেলা চেয়ারম্যান

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ
জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর পুত্র, সাবেক মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং সংসদ সদস্য মোঃ নাসিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা ও উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শনিবার ১৩ জুন এক শোক  র্বাতায় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, জাতির পিতার মতই মোঃ নাসিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারন করে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করে গেছেন। সকল ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি অন্যান্য অবদান রেখেছেন। চেয়ারম্যান আরো বলেন, মোঃ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশ প্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারালো। উল্ল্যেখ ৮দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৩ জুন বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্শিয়ান রাজনীতিবিদ। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়িতে আ’লীগ নেতাদের শোক

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী,আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মূখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা। বর্ষীয়ান এ আওয়ামীলীগ নেতা মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, আওয়ামীলীগ নেতা খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, আওয়ামীলীগ নেতা মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,এড. আশুতোষ চাকমা,আব্দুল জব্বার,পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও খাগড়াছড়ি পৌর সভার মেয়র রফিকুল আলম গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ার এ নেতার মৃত্যুর বিষয়ে তারা বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ বর্ষীয়ান ও গুণি একজন নেতা হারালো। এ ক্ষতি কোন দিন পুরণ হওয়ার নয়। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আটদিন মৃত্যুর লড়াই করে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মোহাম্মদ নাসিম শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১ জুন শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তির পরে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপর গত ৫ জুন ভোররাতে ব্রেন স্ট্রোক করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন বিভাগের তার অস্ত্রোপচার হয়। এক পর্যায়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই গভীর অচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি। অবশেষে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

গুইমারা উপজেলা আ’লীগের শোক

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী,আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মূখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা বর্ষীয়ান এ আওয়ামীলীগ নেতা মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে  নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

শনিবার তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় মেমং মারমা বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ বর্ষীয়ান ও গুণি একজন নেতা হারালো। এ ক্ষতি কোন দিন পুরণ হওয়ার নয়। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আটদিন মৃত্যুর লড়াই করে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মোহাম্মদ নাসিম শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১ জুন শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তির পরে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপর গত ৫ জুন ভোররাতে ব্রেন স্ট্রোক করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন বিভাগের তার অস্ত্রোপচার হয়। এক পর্যায়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

অস্ত্রোপচারের পর থেকেই গভীর অচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি। ভেন্টিলেশন মেশিনের সাহায্যে তিনি কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছিলেন। অবশেষে তিনি সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।