নানিয়ারচরে রত্নাংকুর বনবিহার ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের উদ্বোধন

358

॥ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি॥
‘বিশুদ্ধ পালি ভাষায় বিনয় পিটক সুত্ত পিটক ও অভিধম্ম পিটক শিক্ষা কর’ এই স্লোগানে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, মানবকল্যাণমূখী ও শিক্ষামূলক উদ্দ্যেশে প্রতিষ্ঠিত হলো রত্নাংকুর বনবিহার ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। শুক্রবার (৪ সেপ্তেম্বর)সকালে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার রত্নাংকুর বনবিহারে প্রথম ট্রাস্টের উদ্বোধন করেন ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির। পাশাপাশি ট্রাস্টের উদ্যোগে শুরু হয়েছে পার্বত্য তথা সমগ্র বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মীলম্বীদের পালি ও ত্রিপিটক শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যক্রম ও পালি ভাষার প্রয়োগের প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকালে ফিতা ও কেক কেটে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ভদন্ত ভৃগু মহাস্থবির। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও বৌদ্ধ সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের পতাকা ও বৌদ্ধ পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে ভগবান বুদ্ধের ও মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তের) প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রধান করা হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশ করেন সঙ্গীতশিল্পী রুবেল চাকমা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উষা কিরণ চাকমা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন শান্তি রঞ্জন চাকমা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড.জিনবোধি মহাথেরো ও রত্নাংকুর বনবিহারের অধ্যক্ষ ও রত্নাংকুর বনবিহার ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ভদন্ত শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কমলকান্তি দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক প্রভাত কুসুম চাকমা, চট্টগ্রাম জজ কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি ও হিলর সংবাদ এর আইন উপদেষ্টা রিগ্যান বড়ুয়া। বাংলাদেশ ওয়াল্টন কোম্পানীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অভিজিৎ মুৎসুদ্দী।

অনুষ্ঠানের পরে রত্নাংকুর বনবিহার ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টের কমিটি ঘোষণা করেন ভদন্ত বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির। এতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন রিপন চাকমা। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দিবাসা চাকমা। যুগ্মসম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন হেলেনা চাকমা।