॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা ফেরানো, হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, অবৈধ দখলমুক্ত ও দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে জেলা নদী রক্ষা ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নদী রক্ষা ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। সম্প্রতি কাপ্তাই হ্রদে দখলের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি নজরে আসায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা নদী রক্ষা ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম, জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শিল্পী রানী রায়সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ।
সভায় এ বছর হ্রদের পানি কম হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে নৌ-যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা এবং একইসঙ্গে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন চলমান রাখার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে জেলায় ছয়টি খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় কাজ আপতত বন্ধ রাখা রয়েছে। হ্রদের পানি কমলে আবারও কাজ শুরু হবে। নতুন আরও ২৫টি খাল খনন করতে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সেইসব খাল খননের কাজ শুরু হবে।
জেলা নদী রক্ষা ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, কাপ্তাই হ্রদে নাব্যতা ফেরাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে দ্রুত কাজ শুরুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হবে। হ্রদের দখল বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউএনও’দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।