॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
শুক্রবার বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যােগে কাঁঠালতলী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এর হলরুমে রাঙামাটি শহরে অবস্থানরত বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে মতবিনিময় ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলার ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলার সভাপতি মুহাম্মদ শাব্বির আহম্মেদ ।
এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক জাবেদ মোহাম্মদ নূর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হান্নান, প্রচার সম্পাদক মোঃ হুমায়ন কবির, অর্থ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোরশেদা আক্তার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজিম আল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম তাজ, ছাত্র পরিষদ নেতা মোঃ মামুনুর রশিদ মামুনসহ আরো অনেকেই।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলকে অনগ্রসর অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চাকরি, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা রকম কোটা ও সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সরকার। তবে একই এলাকায় বসবাস করে এবং জনগোষ্ঠীর অর্ধেক হয়েও তা পাচ্ছেন না বাঙালিরা। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগিরা। অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল
সুযোগ-সুবিধা বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালি প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, বাঙালিরা সরকারি বরাদ্দের কোনো কিছুই পান না। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে যেসব সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ অঞ্চল এবং অনগ্রসর অঞ্চল হিসেবে যেসব বরাদ্দ দেয়া হয় তার পুরোটাই ভোগ করছে উপজাতিরা। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে বেশিরভাগ স্থানে উপজাতিরা নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং তারাই তালিকা করেন কাদেরকে বরাদ্দ দেয়া হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, স্থানীয় উপজাতি প্রতিনিধিদের তালিকায় কোনো বাঙালির নাম থাকে না। ফলে জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ছাড়ায় চলতে হচ্ছে। অন্য দিকে উপজাতি জনগোষ্ঠী এককভাবে এর পুরোটা লাভ করছে।