কাপ্তাইয়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে বনবিভাগের ‘সোলার পেনসিল’ প্রকল্প

566

॥ নূর হোসেন মামুন ॥
ব্যাপকহারে বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে আসা বন্যহাতির আক্রমণে গত ৩ বছরে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে কাপ্তাইতে। বন বিভাগের উদ্যোগে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি পশুখাদ্য প্রকল্পে বন্যপ্রাণীর পছন্দনীয় খাবার হিসেবে বৃক্ষরোপন করায় কিছুটা কমেছে মৃত্যুহার। তবে লোকালয়ে বন্যহাতির পাল আসা বন্ধ না হওয়ায় দিনদিনই বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।

এবার নতুন করে কাপ্তাইয়ের ৮ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে বন্যপ্রাণীর যাতায়াত ঠেকাতে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সোলার পেনসিল প্রকল্প গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। ডিসেম্বরেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে শুরু করা হবে এ প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক এবং কাপ্তাই-রাঙ্গামাটি সড়কে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে যাত্রীরা। থাকবেনা বন্য হাতির আক্রমণের সঙ্কা। ফলে কাপ্তাইয়ে আরও বাড়বে পর্যটক আগমণের সংখ্যা এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কাপ্তাই এফডিটিসি ছাত্র রেস্ট হাউজ চত্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে ‘হাতি-মানুষ দ্বন্দ নিরসনসহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক সভায় এসব তথ্য জানান কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম মাহাবুব উল আলম।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন কাপ্তাই বন উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালক মো. বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই পাল্প উড বাগান বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবুল কালাম, পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগয় কর্মকর্তা (ডিএফও) রফিকুজ্জামান শাহ্, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সহকারী বন সংরক্ষক কাপ্তাই মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই সহকারী ভূমি কমিশন মাঈনুল হাসান চৌধুরী, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, সিএমসি সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল প্রমূখ।