॥ মাহাদী বিন সুলতান ॥
বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলায় ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) ২০২০ পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নানিয়ারচর উপজেলায় অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা মিলনায়তনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আয়োজনে উক্ত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা।
২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ২০১১ সাল থেকে সারাদেশে ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম (এমডিভি) অব্যাহত রেখেছে।
এমডিভি কার্যক্রমের আওতায় অবহিতকরণ সভা, মাইক্রোপ্লানিং, এনিম্যাল স্টাফ কন্ট্রোল ট্রেনিং ও পাঁচ দিন ব্যাপি টিকা প্রদান কার্যক্রম পালন করে যাচ্ছে। কোন এলাকার ৭০ শতাংশ কুকুরের মধ্যে এই টিকা দিলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরী হয়। ফলে ঐ এলাকায় জলাতঙ্ক রোগের ঝুঁকি কমায়। অবহিতকরণ সভায় ড. রুম্মান খন্দকার বলেন, জলাতঙ্ক একটি ভাইরাসজনিত প্রাণঘাতী রোগ। কুকুর, বিড়াল, শিয়াল বা বানর দ্বারা আক্রান্ত মানুষ বা প্রাণীর শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতি ১০ মিনিটে সারা পৃথিবী থেকে একজন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। প্রতিরোধই এই রোগ থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র উপায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রগতি চাকমা বলেন, এমডিভি অবহিতকরণ সভায় অনেক কিছু শিখলাম। জলাতঙ্ক এই রোগে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে এমন মহতি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান নুর জামাল হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, প্রাণী সম্পদ অফিসার জ্যোতিল কান্তি চাকমা, নানিয়ারচর থানার ওসি মোঃ সাব্বির হোসেন, এমডিভি সুপারভাইসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল রোমান ও মোঃ ফিরোজ হোসেন প্রমূখ।