প্রাণহানির ঝুকিঁতে মানুষ মেয়রের নির্দেশ উপেক্ষিত

416

॥ মাসুদ পারভেজ নির্জন ॥
রাঙামাটি শহরের পুলিশ লাইন পুনাক সড়কে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ঝুঁকিপূর্ণ  নারিকেল গাছের কারনে যেকোন সময় বড় দূর্র্ঘটনার শিকার হতে পারে উক্ত গাছের নীচে বসবাসরত ৮ টি পরিবারের যে কেউ। গত ৩ বছর পূর্বে ঝুঁকিপূর্ণ নারিকেল গাছটি কাটার জন্য মেয়র বরাবর আবেদন করে বাসিন্দারা। আবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়র বিষয়টি আমলে এনে নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। কিন্তু দীর্ঘ ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাটা হয়নি নারিকেল গাছটি।

ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, প্রতিবেশী লাল মিয়ার জায়গায় যে নারিকেল গাছটি আছে। গাছটির গোড়ার মাটি সরে গিয়েছে ২০১৭ সালে। যার ফলে এই ঝুঁকিপূর্ণ নারিকেল গাছটি যেকোন মুহূর্তে সমূলে ধ্বসে পড়ে আমাদের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানির শঙ্কায় দিনযাপন করছি।

তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে গাছের মালিক লালমিয়াকে একাধিকবার জানানোর পরও কর্ণপাত না করায়। আমরা ২০১৭ সালের ১৪ জুন রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র বরাবর ঝুঁকিপূর্ণ নারিকেল গাছটি কাটার আবেদন করি। তখন পৌর মেয়র বিষয়টির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু ৩বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত গাছটি কাটার ব্যপারে পৌরকর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

তারা আরো জানায়, নারিকেল গাছটি ভেঙ্গে যেকোন সময় আমাদের প্রাণহানির আশংকা নিয়ে আমরা ৮টি পরিবার নির্ঘুম রাত্রিযাপন করছি। তাই তারা পৌর মেয়রের প্রতি গাছটি কাটার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

এবিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুলক দে’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরেজমিনে গিয়ে গাছটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা পর্যবেক্ষণ করে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। জানতে চাইলে রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, লাল মিয়ার সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।