স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে রাঙামাটিতে শুরু হলো করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রয়োগ

409

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
করোনা ভাইরাস মহামারী রোধে রোববার সারা দেশের সাথে রাঙামাটি জেলা ও উপজেলায় টিকাদান শুরু হয়েছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় টিকা গ্রহণের প্রায় ৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও যারা টিকা নিয়েছেন তাদের কারো কোনো রকম অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়নি। টিকা নেওয়ার পর অনেকে সাংবাদিকদের কাছে তাদের সুস্থ-স্বাভাবিক থাকার কথাও জানিয়েছেন।

রোববার (০৭ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদকে টিকা প্রয়োগের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। রাঙামাটি সদর হাসপাতালে এ সময় একে একে টিকা গ্রহণ করেন, সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যরিস্টার দেবাশীষ রায় ও প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলসহ স্বাস্থ্যকর্মী ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিয়মিত বের হওয়া সম্মুখসারির যোদ্ধারা।

এ সময় জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার টিকা পেয়েছে রাঙামাটি। ধাপে ধাপে সকলকে টিকা প্রয়োগ করা হবে। কোনও অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
টিকা গ্রহীতারা বলেন, প্রথম দিনেই টিকা নিতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এমন সুযোগ তৈরি করে দেবার জন্য সরকারের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা আরও বলেন, কোন প্রকার অপপ্রচারে কান না দিয়ে সকলে যাতে এই টিকা গ্রহণ করে কোভিড মুক্ত দেশ গড়তে সরকারকে সহায়তা করে।

সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা বলেন, রাঙামাটিতে ৬হাজার ব্যক্তি টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে। রোববার সকালে ৪০জনকে টিকা প্রদান করা হবে। তিনি আরো জানান, সাংবাদিকসহ ১৫ ধরনের পেশাজীবীকে সরকারের পক্ষ থেকে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এদের পাশাপাশি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান সব মুক্তিযোদ্ধা এবং বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা প্রথম ধাপের অগ্রবর্তী তালিকায় রয়েছেন। সুরক্ষা অ্যাপ নিবন্ধন করে সেখানে পাওয়া এসএমএস অনুযায়ী ভ্যাকসিন গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) প্রয়োগ শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এই কর্মসূচির উদ্বোধনের পর রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা ও উপজেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে একযোগে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি।