এসআই জহিরের উদ্যোগে ইফতার ও ত্রাণ পাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ

740

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটিতে নিম্ন আয়ের মানুষ, পথচারী, ছিন্নমূল হতদরিদ্র ও এতিমদের মাঝে ইফতার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত এসআই জহির। তিনি ১৯/১০/২০১৯ খ্রিঃ রাঙামাটি জেলায় যোগদান করার পর প্রতিনিয়ত কোন না কোন মানবিক কাজ করেই যাচ্ছেন। তিনি মূলত সমাজে ছিন্নমূল হতদরিদ্র শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসহায় মানুষ খুঁজে খুঁজে কাউকে হুইল চেয়ার, কাউকে নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, ত্রান সামগ্রীসহ বিভিন্নভাবে সমাজের অস্বচ্ছল অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি করোনাকালীন তার ব্যক্তিগত হজ্জের জমানো টাকা তুলে করোনা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। রাঙামাটিতে করোনা পজেটিভ রোগীদের খাদ্য, ঔষুধ প্রদান করেছেন।

রাঙামাটিতে তার উল্লেখযোগ্য মানবিক কাজ গুলোর মধ্যে বন্ধুকভাঙ্গা ইউনিয়নের মুবাছড়ি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী জয়কুমারী চাকমা(৪০) এবং রাঙামাটি পৌরসভার চম্পকনগর এলাকার আব্দুল জলিলের কলোনীতে থাকা শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ কামাল হোসেন প্রকাশ রাজা মিয়া(১৪), ভেদভেদী মুসলিম পাড়ার দূর্ঘটনায় মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাওয়া রোগী নয়ন(৩৫), পশ্চিম ভেদভেদী শারীরিক প্রতিবন্ধী আঃ শুক্কুর(২০), পুরাতন পারার দূর্ঘটনায় পা হারানো সেলিম(৪৮), আঞ্জুমুল(৩৩), তবলছড়ি কর্মচারী কলোনীর সিএনজি চালক হেলাল(৪৫) কে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ আর্থিক সহযোগীতা করেছেন।

তিনি গতবছর করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের অঘোষিত লকডাউনে কাপ্তাই লেকে ক্ষতিগ্রস্থ জেলেদের ত্রান, রিজার্ভমুখ অগ্নিকান্ডে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে ত্রান এছাড়া চম্পকনগর শারীরিক প্রতিবন্ধী তানিয়াকে আর্থিক ও ত্রান সহায়তা, ভেদভেদী মুসলিমপাড়া ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী মরিয়মের একমাত্র মেয়ে আছমার লেখাপড়ার সহায়তাসহ অসংখ্য মানবিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। বর্তমানে চলমান লকডাউনে তিনি রমজানের শুরুতে মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ইফতার ও ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। তার এই কাজে আর্থিক একটা বড় অংশ সহযোগিতা দিচ্ছেন মানুষ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কানাডা প্রবাসী নাসির কাশেম।

উল্লেখ্য তিনি তার পূর্ববর্তী কর্মস্থল লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানায় একাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যাপক মানবিক কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন। এবিষয়ে এসআই জহির জানান, পুলিশ জনগনের সবচেয়ে কাছে থেকে কাজ করার সুযোগ পায় এবং চাইলে জনগনের সত্যিকারের বন্ধু হতে পারে। সেই লক্ষ্যে তিনি চাকুরীর পাশাপাশি মানবিক কাজ করে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জল ও দেশের জন্য মানবিক কাজে ভূমিকা রাখতে চান। তিনি তার এই মানবিক কার্যক্রমে সবসময় রাঙামাটির পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সিনিয়র অফিসারদের সহযোগীতা পেয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন।