রাজস্থলীতে লকডাউনে কষ্টে দিন যাপন করছে কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষ

472

|| আজগর আলী খান, রাজস্থলী ||

করোনার ভয়াল থাবায় সারাদেশ বিপর্যস্ত। বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। সব মিলিয়ে মৃত্যু আতঙ্ক চারদিকে। তার উপর চলছে লকডাউন। সব মিলিয়ে কষ্টের শেষ নেই নিম্ন আয়ের মানুষের । লকডাউন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়ে তাদের অবস্থা এখন সংকটময়। নেই সরকারি-বেসরকরী কোন ত্রান সহায়তাও।

এদিকে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে এখন লাগামহীন মাছ, মাংস, খাবার তেল, চাল, ডাল ও সবজি বাজার। সব কিছুই ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাহিরে নিম্ন আয়ের মানুষের। যার ফলে সীমাহীন কষ্টে ক্ষুধার জ্বালায় জীবনযাপন করছেন কর্মহীনরা। তাই বাধ্য হয়ে কাজের সন্ধানে পেটের তাগিদে রাস্তায় নামছেন শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। তবে তেমন ভালো নেই মধ্যবিত্তরাও। কেউ চালাচ্ছে রিক্সা, কেউবা আবার দৈনিক চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করে সংসারের অভাব অনটন দূর করতে কাজ করলেও এখন আর তেমন কাজও নেই। করোনা আতঙ্কিত চারদিকে শুধুই শুন্যতা।

এদিকে পরিবহণ শ্রমিকরা লকডাউনের ফলে কর্মহীন অলস সময় পার করছে। ফলে সংসারের অভাব-অনটনে অর্ধহারে-অনাহারে জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের এমনটি জানিয়েছেন তারা। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার টানা ২ সপ্তাহের লকডাউনের গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকায় নেই অর্থ,টাকা-পয়সা। এরপর আবারো ৭ দিনের জন্য লকডাউন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তের ফলে চিন্তার শেষ নেই তাদের।

তারা জানান, দৈনিক গাড়ী চলাচল করলে কাজের হিসাবে কোন রকম পেট চলে তাদের। চলে সংসারের চাকাও। বর্তমান অবস্থায় পরিবহণ শ্রমিকদের খোঁজ কেউ নিচ্ছে না বলেও হতাশার কথা জানান তারা। সরকারি নানা সহায়তার কথা উল্লেখ করে পরিবহণ অটো রিক্সা শ্রমিকরা উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক বলেন, কিছু দিন আগে অসহায় হত দরিদ্রের জন্য বরাদ্দ এসেছিলো। সরকারি নির্দেশনায় প্রত্যেক ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে বিতরন করা হয়। ইতোমধ্যে আরো ভিজিএফ চাউলের পরিবর্তে নগদ টাকা বরাদ্ধ এসেছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের তালিকা অনুযায়ী সঠিক সময়ে বিতরন করা হবে।