স্টাফ রিপোর্টার
বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মধ্যে জনদুর্ভোগ ও নিম্নআয়ের মানুষগুলোর কথা বিবোচনা করে, রাঙামাটি জেলা সদরে ৩০ পরিবারের কাছে ইদ উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন Jibon”জীবন”। রাঙামাটিতে করোনায় বিপর্যস্ত ৩০ পরিবারের মাঝে এই উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। রাঙামাটির রুপনগর, শিমুলতলী ও আসামবস্তি এলাকা থেকে যাচাই-বাছাই করে এই ইদ উপহার বিতরণ করা হয়।
জীবনের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মনির গাজী জানান, “আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে এবার ৩০ পরিবারের সাথে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরেছি। সামনে চেষ্টা করবো এই সহযোগিতার আরো ব্যাপ্তি ঘটাতে।”
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে দেশব্যাপী লকডাউন বর্ধিত করা হয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য এই লকডাউন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষফোঁড়া।
সোমবার সকালে একটি সিএনজি করে রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি, শিমুলতলী ও রুপপুর ঘুরে ৩০ পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
এসময় জীবনের সমন্বয়ক মোবারক হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি), দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মনির গাজী, অর্থ সম্পাদক শুভ মন্ডল, কার্যকরী সদস্য সাইফুর রহমান শোভন উপস্থিত ছিলেন।
করোনাকালে রাঙামাটির অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের হাতে উক্ত খাদ্য সামগ্রীগুলো পৌঁছে দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যগণ।
জীবনের সমন্বয়ক মোবারক হোসেন রানা জানান, উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো (চাল-৫ কেজি, আলু-২ কেজি, মশুর ডাল-১ কেজি, পিঁয়াজ-২ কেজি, সয়াবিন তেল-১ লিটার, চিনি-১ কেজি, সেমাই-১ প্যাকেট, গুড়ো দুধ-৫০০গ্রাম এবং সাবান-১টি)।
Jibon”জীবন” এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি) বলেন, “আমরা রাঙামাটির বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ২০১১ সাল থেকে নিয়োজিত তবে এই বৈশ্বিক করোনা মহামারীর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। হাজারো অভাবে থাকলেও মূখ ফুটে নিজেদের অভাবের কথা কাউকে জানাতে চান না তাঁরা। তাই আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করে এই পরিবারগুলোকে বাছাই করেছে। ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও এবার বেশী সংখ্যক পরিবারের মাঝে উপহার পৌঁছানো সম্ভব না হলেও আমরা আশাবাদী সামনের দিনগুলোতে আরো বৃহত্তর পরিসরে কার্যক্রমটি ব্যাপকতা লাভ করবে।”
ইদ সামগ্রী গ্রহণকারী শহিদুল ইসলাম জানান, করোনায় শ্রমিকের অভাব থাকা সত্ত্বেও পরিবহণ সংকটে আয় উপার্জন একপ্রকার বন্ধ। এবার পরিবারের সাথে ইদ করা নিয়ে কিছুটা সংশয়ের মধ্যে ছিলেন তিনি। এই উপহার সামগ্রী পেয়ে চিন্তামুক্ত হয়েছেন বলেও জানান।