।। নানিয়ারচর প্রতিনিধি ।।
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ৪লক্ষ ৫০হাজার টাকা প্রণোদনা পেলেন রাঙামাটির ১৮জন দারুল আরকাম শিক্ষক। বুধবার (১৯শে মে) সকাল ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি শাখার নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ১৮জন শিক্ষককে জনপ্রতি ২৫হাজার টাকার চেক বিতরণ উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী।
এসময় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপার ভাইজার মোঃ আলী আহসান ভুঁইয়া, দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওঃ বেলাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী ইমাম, সাংগঠনিক হাফেজ মাওঃ রাশেদুল ইসলাম ও ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮সালে দেশের প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে প্রতিষ্ঠা হওয়া দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রকল্পটি ২০১৯সালের ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে অদ্যাবধি চালু হয়নি দেশের এই আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা।
সূত্রটি আরো জানায়, বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়ায় এসব শিক্ষকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সারা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ৭কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, দারুল আরকাম শিক্ষকদের মাঝে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষকদেরকে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য দোয়া করতে বলেন এই উপ-পরিচালক।
প্রকল্প চালু হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রকল্প অনুমোদনের ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে। আশাকরি দ্রুত সময়ে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রকল্প চালু হবে। এসময় দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা সেকেন্দার প্রধানমন্ত্রীসহ দেশ ও জাতির জন্য এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭সালে প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহে সারা বাংলাদেশে ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং কওমি (তাকমিল) ১০১০জন ও আলীয়া পড়ুয়া ১০১০জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি চালু হয়নি প্রকল্পটি। এদিকে প্রকল্প চালু হওয়া নিয়ে সংশয়ে দিনানিপাত করছেন কওমি-আলীয়া এসব শিক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠিত এসব প্রতিষ্ঠানের লাখো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও প্রকল্প পুনঃঅনুমোদন এখন সময়ের দাবি বলে জানান শিক্ষকরা।