রাঙামাটিতে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়নে টিটিসিতে সেমিনার

437

॥ মোঃ হান্নান ॥

‘মুজিব বর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’ প্রতিপাদ্যে রাঙামাটিতে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে রাঙামাটি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) হলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে জেলাপ্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানের ডেমোগ্রাফিক্স ডেভিডেন্স এ অবস্থান করছে। মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি কর্মক্ষম জনশক্তি থাকায় দেশের উত্তরণ এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময়। জনমিতির এই বিষয়টি মাথায় রেখেই সরকার দ্রুত কমক্ষম জনশক্তিকে দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার জন্য নানামুখি উদ্যোগ নিয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের দায়িথ্ব হলো সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এই বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া এবং যুবশক্তিকে কার্যকর মানুষে পরিণত হতে সহয়াতা করা।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইটি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) নাফরিজা শ্যামা। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাফরিজা শ্যামা বলেন, পারিবারিক, সামাজিক ও দেশের উন্নয়নে দক্ষ জন শক্তির বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। প্রশিক্ষন নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশ যেতে বিদেশগামীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

কারিগরি শিক্ষার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে অভিভাবকেরা ব্যস্ত। তবে দিন পাল্টেছে। এখন শুধু শিক্ষিত হলেই চলবে না, কর্মক্ষেত্রে সাফলতা পেতে শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। সাধারণ শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত হয়ে অনেকে বেকার ও দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে কারিগারি শিক্ষায় নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

এর আগে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সরকারের অভিবাসন কার্যক্রম ও দক্ষ জনশক্তি গড়তে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সুযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জানানো হয়। সেমিনানে ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের চেয়ারম্যানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ গ্রহণ করে।