নানিয়ারচরে ড্রাগন চাষে আশার আলো দেখছেন উজ্জ্বল চাকমা

367

॥ মাহাদি বিন সুলতান ॥

মৌসুমী ফল আম, কাঁঠাল ও আনারসের পাশাপাশি ড্রাগন চাষে আশার আলো দেখছেন নানিয়ারচর উপজেলার উজ্জ্বল চাকমা (৩২)। শনিবার (২৬ জুন) নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের জ্ঞান প্রকাশ চাকমার ছেলে উজ্জ্বল চাকমার পোড়াক্যাম্প এলাকায় বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাগন গাছের পরিচর্যা করছেন তিনি- সার, কীটনাশক ও গাছে পানি দিচ্ছেন।

কিভাবে তিনি একটি আদর্শ ড্রাগন বাগান গড়ে তুললেন জানতে চাইলে তিনি জানান, নানিয়ারচর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ২০১৯ সালে তাকে প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ৭০টি চারা প্রদান করা হয়েছে। সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে বাগানটি গোছাতে সাহায্য করেছেন তারা।

তিনি আরো জানালেন, গেল বছর (২০২০) এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল বিক্রি করে তিনি লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। এবছর তিনি ২লক্ষ টাকা ড্রাগন ফল বিক্রির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। ড্রাগনের পাশাপাশি ৪৫০টি আ¤্রপালি ও হাড়িভাঙা আম রয়েছে তার বাগানে। চাষ করছেন কলা ও আনারস। চাষাবাদেই প্রচুর লাভ দেখছেন তিনি। এলাকার কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আম, কাঁঠাল, আনারসের পাশাপাশি ড্রাগন একটি লাভজনক ফল। ড্রাগন বেশ লাভজনক হওয়ায় এলাকার চাষিদের তিনি উদ্বুদ্ধ করতে চান। তিনি বলেন, ৪০০-৫০০শত টাকায় বিক্রি করছেন কেজি প্রতি ড্রাগন। বিক্রি করতে বাজারে যেতেও হচ্ছেনা। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি থেকে আসা চাকুরীজীবীরা বাগানের পাশে গাড়ি বা বাইক দাড় করিয়ে কিনে নিচ্ছেন ড্রাগন ফল।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ টিপু সুলতান বলেন, নানিয়ারচরে আম, কাঁঠাল, লিচু ও আনারসের পাশাপাশি চাষিরা ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন। মিশ্র ফল চাষে লাভবান হচ্ছে এলাকার কৃষকরা। ড্রাগন একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় বর্তমানে এই ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নানিয়ারচর কৃষি বিভাগ ড্রাগনের পাশাপাশি কফি ও কাজু বাদাম নিয়েও কাজ করছে।