শান্তির স্বদেশ গড়তে পার্বত্য জনগোষ্ঠীর মনষিকতার পরিবর্তন দরকার : রাঙামাটিতে মানবাধিকার কমিশন সচিব

547

p.1

স্টাফ রিপোর্টার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. আমজাদ হোসাইন খান বলেছেন, শুধু ব্রিজ, কালভার্ট তৈরি করে অবকাঠামো উন্নয়ন করলেই আমরা এগিয়ে যাবো এমনটা আশা করা ঠিক হবে না, সাধারণ উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নও জরুরি। তিনি বলেন, সভ্যতার দাবি হলো মানুষের চেতনার বিকাশ ও মন মনষিকতার পরিবর্তন; এই ক্ষেত্রে উন্নয়ন না এলে দেশ এগিয়ে যাবে না।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর মধ্যে আন্তসম্পর্কের উন্নয়ন তথা একজন আরেকজনের প্রতি সহমর্মিতা, মর্যাদা ও সহনশীলতা প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা শান্তির স্বদেশ গড়ে তুলতে পারি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে ‘মানবাধিকার সাংবাদিকতা’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশন সচিব এসব কথা বলেন। রাঙামাটিতে কর্মরত সংবাদকর্মীদের নিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টংগ্যার ব্যবস্থাপনায় রোববার দু’দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। সাস কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা শেষ হয় সোমবার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশন সচিব আরো বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা। কোনো এনজিও নয়। সরকারি টাকায় এটি পরিচালিত হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তবে সরকারের গুণগানের উদ্দেশে সংস্থাটি গঠন করা হয়নি। আমরা সরকারের গুণগানও করি না আবার বিরোধও করি না। আমরা মানুষের অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমরা মানুষের আইনী অধিকারের পাশাপাশি নিজেরাও অনেকসময় তাদের পক্ষ হয়ে মামলা করেছি। মানুষের অধিকার বিষয়টি সুরক্ষা মানবাধিকার কমিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
দু’দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইন ও কমিশনের বিশেষজ্ঞ খান মুহাম্মদ রবিউল আলম। কর্মশালায় রাঙামাটিতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

রোববার সকালে কর্মশালা উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও টংগ্যার সহ-সভাপতি মিজ নিরূপা দেওয়ান। তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আমাদের সংবিধান স্বীকৃত একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। আমরা জনগণের বন্ধু তবে সরকারের প্রতিপক্ষ নই। আইন যেখানে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দারপ্রান্তে উপনীত হয়, সেখানেই কাজ করে মানবাধিকার কমিশন। অল্প সময়ের মধ্যেই কমিশন অনেক দুর এগিয়েছে, অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তবে কমিশন সংম্পর্কে জনগণের ধারনা স্পষ্ট নয়। গণমাধ্যম কর্মীদের সেই জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে গণমাধ্যম কর্মীরা সকলেই কমিশনের এক একটা চোখ।

সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান।