নানিয়ারচরে গণটিকার কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক

321

।।নানিয়ারচর প্রতিনিধি।।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে গণটিকার অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। দিনব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নানিয়ারচরে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২হাজার ৪শ জন ব্যক্তিতে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নানিয়ারচর স্বাস্থ্যবিভাগ।

শনিবার দুপুরে উপজেলার ৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়নের ১নং বগাছড়ি পুর্নবাসন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘিলাছড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (সার্বিক) মোঃ মামুন, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলি রহমান তিন্নী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. নূয়েন খীসা, থানার ওসি মোঃ সাব্বির রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

করোনা টিকা কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক জানান, নানিয়ারচরে কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করে অনেক ভাল লেগেছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ টিকা নিতে পেরেছে এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। নিবন্ধন জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, পার্বত্যাঞ্চলে নেটওয়ার্কে সমস্যা থাকায় নিবন্ধন কার্যক্রম একটু ব্যহত হয়েছে। এছাড়া আজকে পরিক্ষামূলক প্রথম দিন টিকে দেওয়া হচ্ছে।

পরবর্তিতে এসব বিষয়ে লক্ষ রেখে টিকা প্রদান করা হবে। টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে নূয়েন খীসা জানান, নানিয়ারচর উপজেলার ১নং সাবেক্ষং ইউনিয়নে মরাচেঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিক, ২নং নানিয়ারচর ইউনিয়নের সাপমারা জুনিয়র স্কুল, ৩নং ইউনিয়নে বগাছড়ি পুর্নবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪নং ঘিলাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে করোনা টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, গতকাল শুধু জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) এনে টিকা দিতে পারার কথা থাকলেও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনানুযায়ী আজকে এনআইডি কার্ড এনে নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ৫জন আইটি পারসন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই টিকা নিতে পারছে। ৪নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের করোনা টিকা নিতে আসা রিপন চাকমা (৩৮) জানান, কোন রকম হয়রানী ছাড়া নিবন্ধন করে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ পরে টিকা নিতে ঢুকতে পারব। কোন রকম হয়রানী ছাড়া এত সহজে করোনা টিকা পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।