স্বর্ণটিলা মসজিদ কলোনী সড়ক মরণফাঁদে রুপ নিয়েছে

819
সাজিদ বিন জাহিদ
রাঙামাটি পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের স্বর্ণটিলা জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশায়। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায় প্রতিনিয়ত যানবাহনের চাপ থাকে ফলে ঝুঁকির মাত্রাও দিন দিন বাড়ছে। তবলছড়ি বাজার থেকে আসামবস্তি ও স্বর্ণটিলা যাবার জন্য দু’টি সড়ক থাকলেও এলজিইডি বর্তমানে একটি রোডে সংযোগ সেতুর কাজ পরিচালনা করার ফলে বর্তমানে একটিমাত্র সড়কের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে ৫ নং ওয়ার্ডের স্থানীয়দের। সড়কটি দিন দিন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যাচ্ছে। একাধিক দূর্ঘটনা ঘটে গেছে সড়কে যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিতান্তই স্বল্প হওয়ায় হয়তো সেটি প্রশাসনের কানে পৌঁছায়নি।

যদিও দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হবার আগেই নগরপিতা আকবর হোসেন চৌধুরী সরজমিনে পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীকে আস্বস্ত করেছেন সড়কটির মেরামতের এমনকি প্রয়োজন বুঝে সংস্কারের তবে বৈশ্বিক করোনা অতিমারী ও নানান জটিলতায় সড়কের কাজের ব্যাপারে কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি।

আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ থেকেই এলাকাবাসীর বিশ্বাসের মণিকোঠায় অবস্থান করেন বর্তমান মেয়র। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ থাকলেও তাঁদের পরিপূর্ণ আস্থা রয়েছে তাদের নির্বাচিত মেয়রের প্রতি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটির মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছে। স্বর্ণটিলা জামে মসজিদের নীচেই কলোনীতে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। সড়কটির বেহাল দশা দেখে তাদের রাতের ঘুম ছিনিয়ে গেছে। আতঙ্কগ্রস্ত রজনী পার করছেন তারা। যেকোন সময় সড়কটি ধসের আশঙ্কা রয়েছে। বিকল্প সড়ক না থাকায় মালবাহী গাড়ি ও ভারী যানবাহন চলাচলে সড়কটি দিন দিন আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সড়কটির কাজের অগ্রগতি জানতে আমরা যোগাযোগ করেছি ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাচিং মারমার সাথে। তাঁর ভাষ্যমতে, পৌর মেয়র সবসময়ই তাঁর পৌর এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল। করোনা মহামারী উপেক্ষা করেও তিনি ছুটে গেছেন ভোটারদের যেকোন প্রয়োজনে, তবে সড়কের ব্যাপারে আর্থিক অনুমোদনের একটি বিষয় জড়িত। বর্তমান অর্থবছরে যেসকল প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে নিয়মানুযায়ী সেগুলোর কাজই আগে সম্পন্ন করতে হবে। এই অনুমোদিত কাজগুলোর বাহিরে কোনপ্রকার সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। তবে কাউন্সিলর হিসেবে আমরা যতটা সম্ভব অস্থায়ী হলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এব্যাপারে মেয়র মহোদয় সবসময় সহযোগিতা করার মনমানসিকতা রাখেন।

আমরা আরো যোগাযোগ করেছি ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে নবনির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর নির্মলা দেওয়ানের সাথে। তিনি জানান, আমি এবার প্রথমবারের মত নির্বাচিত হয়ার পরই আমার নির্বাচনী এলাকার যাবতীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেয়র মহোদয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আসলে আপনারা জানেন, জনপ্রতিনিধি হলেও আমাদেরও কিছু নিয়মনীতির বাধ্যবাধকতা থাকে। জনসম্পৃক্ততা থাকা ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের সার্বিক চেষ্টা করেও অনেকসময় আমরাও নিজের সাধ্যের বাহিরে যেতে পারি না। আমি নিজেও এই পথ ধরেই যাতায়াত করি বিধায় এলাকাবাসীর চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে আমিও সচেষ্ট। আশাকরি করোনা মহামারী কাটিয়ে শিঘ্রই সড়কটির মেরামত ও সংস্কারের নীতিগত অনুমোদন পাস করাতে আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাবো।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে চাহিদা অস্থায়ীভাবে হলেও বর্ষার আগেই সড়কটির একটি সংস্কার কাজ পরিচালনা করা হোক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদের হাত থেকে এলাকাবাসীকে নিরাপত্তা দেয়া হোক। এলাকাবাসী ইতোপূর্বে নিজস্ব পরিকল্পনায় ছোটখাটো সংস্কার করলেও সেটা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে টিকেনি। তাই এবার পৌরসভার প্রত্যক্ষ নজরদারি ও সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

রাঙামাটি পৌরসভার কাছে সড়কটি যথাশীঘ্র মেরামত ও সংস্কারের দাবি রেখেছে ৫ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী। সময় থাকতে তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে হয়তো বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটে যাবার আশঙ্কা রয়েই যাবে।