পাহাড়ে ড্রাগন চাষে সম্ভাবনা দেখছেন শামশুল আলম

325

।।নানিয়ারচর প্রতিনিধি।।

পাহাড়ে বিদেশি ও সুস্বাদু ফল ড্রাগন চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন নানিয়ারচর উপজেলার পঞ্চাশোর্ধ মোঃ শামশুল আলম। দীর্ঘ ৩৬বছর সড়ক ও জনপথ বিভাগে চাকুরী জীবন শেষে অবসর গ্রহন করে এখন তিনি ড্রাগন চাষে মনোনিবেশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের বগাছড়ি এলাকায় তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২একর জমিতে চাষ করছেন বিদেশি ফল ড্রাগন। তার বাগানে রয়েছে ১৮০০ ড্রাগন ফলের গাছ। তার সাথে কথা বলে জানা যায়,২০১৮ সালে নানিয়ারচর হর্টিকালচার থেকে ৪০টি পিলার, ৩২০টি চারা, সার ও ড্রাগন চাষ উপকরণ পান তিনি। পরে নিজস্ব উদ্যোগে রায়খালী কৃষি ইন্সটিটিউট থেকে ১৫০০চারা এনে রোপন করেন তিনি।

জানতে চাইলে তিনি জানান, এবছর ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ১০০কেজি ফল কেটেছেন। প্রতি কেজি স্থানীয় মূল্য ২৫০-৪৫০ টাকা পাওয়া যায়। প্রতিবছর মে মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ফল দেয় এই ফল। প্রথম ২/১ বছর একটু বাড়তি পরিচর্যা নিলে ২০বছরের ও বেশি ফলন দিবে এই সুস্বাদু ফলটি।

এবিষয়ে নানিয়ারচর হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মোঃ আল মামুন বলেন, পাহাড়ে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ড্রাগন চাষ খরচ কম ও লাভজনক। বিদেশি ও সমতল জেলা গুলো থেকে পাহাড়ের ড্রাগন ফল অনেক সুমিষ্ট। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি চাষিরা ড্রাগনের কাটিং বা চারা বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও ড্রাগন বাগানে সবজি জাতিয় অন্য চাষাবাদ ও করা যায়। তাই নানিয়ারচরে চাষিরা ড্রাগন চাষে ঝুঁকছে।