রাঙামাটির স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে টিআইবির মতবিনিময় সভা

390

॥ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ॥

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ, রাঙামাটির উপ পরিচালক মো: আল-মামুন মিয়া স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস সময়ে উপস্থিত থেকে জনগণকে তাদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ) সন্ধ্যায় অনলাইন প্লাটফর্ম জুম ওয়েবিনারে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মান উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলি রহমান তিন্নী, বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল রানা, লংগদু উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাইনুল আবেদীন।

সনাক সভাপতি নিরূপা দেওয়ান এর সভাপতিত্বে ও সনাক সদস্য মো আলী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআইবি ট্রাস্টিবোর্ড ও সনাক সদস্য এ্যাড. সুস্মিতা চাকমা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল রানা বলেন, সরকার কর্তৃক আরোপিত যার যা দায়িত্ব তা যদি সঠিকভাবে পালন করা হয় তবে সুশাসন নিশ্চিত করা যাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টিআইবি’র সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের পরিচারক ফারহানা ফেরদৌস বলেন, একটি জনবান্ধব ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করতে হলে ইউনিয়ন পরিষদকে আরো সক্রিয়ভাবে সেবা দিতে হবে। জনগণকে যাতে সেবা নিতে এসে অপেক্ষা করতে না হয় বা ফেরত যেতে না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন নানিয়ারচর ইউনিয়ন পরিষদ জ্যোতিলাল চাকমা, বরকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মামুন, চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থাইচা অং মারমা এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের পক্ষ থেকে সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ মতিলাল চাকমা, কার্বারী প্রতিনিধি চম্পা চাকমা এবং হেডম্যান নেটওয়ার্ক এসোশিয়েন এর সেক্রটারী শান্তি বিজয় চাকমা প্রমূখ । প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগ রাঙামাটির উপপরিচালক মো: আল-মামুন মিয়া আরো বলেন, সেবা নিতে গিয়ে যাতে জনগণ কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদকে সিটিজেন চার্টার স্থাপন করতে হবে এবং সেখানে সেবার মূল্য তালিকা উল্লেখ থাকবে। ডিজিটাল সেন্টারগুলো খোলা রাখতে হবে। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ করে তার নাম ও মোবাইল নম্বর পরিষদের দেয়ালে স্থাপন করতে হবে।

তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বাস্তবায়নে প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদকে মতবিনিময় সভা করার অনুরোধ করা হয়। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীগুলো সরকারি পরিপত্র অনুযায়ি বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান তিনি। সভার সভাপতি নিরূপা দেওয়ান উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, স্থানীয় সরকার তথা ইউনিয়ন পরিষদ জনগণের প্রকৃত সরকারি সুযোগ সুবিধার সেবা প্রাপ্তীতে অন্যতম মাধ্যম। এই প্রতিষ্ঠানে সু-শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে জনবান্ধব হবে বলে মনে করি। অনুষ্ঠানে প্রায় একশত জন লোক অংশগ্রহণ করে।