টানাবর্ষণে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বৃদ্ধি

363

|| অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই ||

কয়েকদিনের টানাবর্ষনে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের ৪টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে। ফলে ৪টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৪টি ইউনিটে ১৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আপাতত ২ নম্বর ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। সেটি চালু করা গেলে আরো ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হতো।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ১ নম্বর ইউনিটে ৪৪ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিটে ৪৭ মেগাওয়াট, ৪ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট এবং ৫ নম্বর ইউনিটে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। হ্রদে রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী পানি থাকার কথা ১০৯ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু হ্রদে বর্তমানে পানি রয়েছে (২৩ সেপ্টেম্বর, সকাল ৯ টা পর্যন্ত) ১০৬ দশমিক ৬৭ ফুট এমএসএল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে হ্রদে প্রায় ৪ ফুট পানি কম রয়েছে। পা

নি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জানান, অব্যাহত ভারী বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসা পানি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। কিন্তু পানি ১০৭ ফুট এমএস অতিক্রম করলেই তা বিপজ্জনক হিসেবে ধরা হয়। তখন কেন্দ্রের স্পিলওয়ে খুলে পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলি নদীতে পানি ফেলে দিতে হয়।