বিভাগ ভিত্তিক সরকারি চাকরির পরীক্ষার দাবীতে পরিক্ষার্থীদের ভিন্নধর্মী প্রচারণা

480

|| স্টাফ রিপোর্টার ||

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সরকারি চাকরি পরীক্ষার্থীরা একযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে এক দফা এক দাবি “সরকারি চাকরির পরীক্ষা বিভাগ ভিত্তিক চাই” লিখে প্রচার কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় তারা এ কর্মসূচী পালন করেছে।

এবিষয়ে রাঙামাটি জেলার এক পরিক্ষার্থী প্রতিবেদককে বলেন- সরকারি চাকরির পরীক্ষা গুলো বিভাগ ভিত্তিক হলে অন্তত সকলের জন্য অনেক উপকার হবে। কারণ- একটি চাকরির পরীক্ষা দিতে সবাইকে ঢাকায় যেতে হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একটি ছেলে যত সহজে ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন একটি মেয়ে কিন্তু ততই সহজে ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারে না।

আরেকটি কথা হলো বেকারত্ব একটি সমাজিক ব্যাধি। সংজ্ঞা অনুযায়ী, একজন মানুষ যখন পেশা হিসেবে তার কাজ খুঁজে পান না তখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাকে বেকারত্ব বলে। আর এই বেকারত্বের বোঝা কাঁধ থেকে নামাতে জীবনযুদ্ধে চাকরির সন্ধানে হন্যে হয়ে ছোটে লাখো লাখো মেধাবী তরুণ-তরুণী। বর্তমানে করোনা মহামারীর ফলে অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়েছে। থেমে ছিল সকল চাঞ্চল্য, কিন্তু থেমে ছিল না একজন চাকরি প্রার্থীর বয়স। দীর্ঘদিন ধরে চাকরির পরীক্ষা গুলো বন্ধ ছিল। কিন্তু যখন স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরীক্ষা গুলো নেওয়া শুরু হয়েছে। তখন এই সংকটকালীন মুহূর্তে গ্রামগঞ্জ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাকরি প্রার্থীরা ঢাকা মুখী হচ্ছে চাকরির পরীক্ষা দিতে। যেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুবেলা দু-মুঠো খেয়ে জীবনধারণ করাই কষ্টকর। সেখানে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে একটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পাড়ি দিতে হচ্ছে দূর-দূরান্তে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া একটি ছেলে যতটা নির্ভয়ে পথ চলতে পারে কিন্তু একটি মেয়ের পক্ষে তা কখনোই সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশের ৬৪ জেলার চাকরি পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের নিকট আকুল আবেদন। এই করনোকালীন দুর্যোগ এবং পরবর্তী সময়েও একজন চাকরি প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা, যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে চাকরির পরীক্ষার কেন্দ্র গুলো বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপনের বিনীত নিবেদন করছি। তাহলে লাখো লাখো চাকরি প্রার্থী স্বস্তি পাবে, কমবে ভোগান্তি।