সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পাহাড়ের সকল দুর্গম এলাকাকে আলোকিত করা হবে: নিখিল কুমার চাকমা

411

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সে সব এলাকাকে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও ভালোবাসার কারণে একসময় অশান্ত হয়ে থাকা পাহাড়ে এখন শান্তি ফিরে এসেছে; এখন উন্নয়নের সময় এবং এগিয়ে যাবার সময়। তিনি বলেন, এই সরকারের সময় প্রতিটি দূর্গম এলাকায় পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে গেছে। বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে, তবে যে এলাকাগুলো এখনও বিদ্যুৎ পায়নি আগামী দিনগুলোতে সেই দূর্গম এলাকাগুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলো পৌছে দিবে। চেয়ারম্যান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন পার্বত্য অঞ্চলের অপার সৌন্দর্য্য পৃথিবীর সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে এপেক্স ক্লাবের সকলের প্রতি আহবান জানান।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাঙামাটিতে আন্তজার্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ গৌরবের ৬০তম বর্ষ অতিবাহিত করে ৬১তম বর্ষে পদাপর্ণ উপলক্ষে আয়োজিত হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের হল রুমে দুইদিন ব্যাপী এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ আয়োজিত হীরক জয়ন্তীর উৎসবের এপেক্স বাংলাদেশ জাতীয় সভাপতি এপে. নিজাম উদ্দিন পিন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জাতীয় বোর্ডের এনওয়াইসিডি এপে. হেলাল উদ্দিন, এপেক্স বাংলাদেশ জাতীয় সহ-সভাপতি এপে. ইলিয়াস জসিম। এছাড়া সদর উপজেলা প্যানেল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, হীরক জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব এপে. সুজিত কুমার সাহা, এপেক্স বাংলাদেশের অতীত জাতীয় সভাপতি-লাইফ গভর্নরসহ এপেক্সের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দেশের এপেক্স আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখায় ২ জনকে এপেক্স রত্ম, ১ জনকে এপেক্স ডায়মন্ড, ৬ জনকে এপেক্স কান্ডারী মোট তিন ক্যাটাগরিতে নয়জন বিশিষ্ট এপেক্সিয়ানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সেবা, সৌহার্দ্য ও সুনাগরিকত্ব এই তিনটির উপর ভিত্তি করে গত ৬০ বছর ধরে এদেশের অসহায়, অবহেলিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ।

১৯৬১সালের ১৯ জুলাই থেকে বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবাদানকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ তার পদযাত্রা শুরু করে। যা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জাঁকজমকভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, সমাজ তথা এপেক্স আন্দোলনে অবদান রাখায় বিশেষ ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা প্রদান, র‌্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক বনভোজন, পুরষ্কার বিতরণসহ নানা ধরনের কর্মসূচী পালিত হবে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানটি ঢাকায় উদযাপন করা হয় কিন্তু এ বছর পর্যটন এলাকা হিসেবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে উদযাপন করা হয়েছে।