ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২৯ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (সেভেন সামিট) জয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশের পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন আগামীকাল ৩০ নভেম্বর, সোমবার দেশে ফিরবেন। তিনি মালিন্দো এয়ার-এর ফ্লাইট নং-ওডি ১৬২ বিমানে করে রাত ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবেন। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জ হয়ে তিনি তাঁর বাসার উদ্দেশে যাত্রা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ওয়াসফিয়া নাজরীনই বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী নারী, যিনি সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় (সেভেন সামিট) করলেন। এছাড়া তিনিই প্রথম নারী, যিনি বৈশ্বিকভাবে পুরুষ পর্বতারোহীর আগে কোনো দেশের পক্ষ থেকে এককভাবে এসব শৃঙ্গ জয় করেছেন।
উল্লেখ্য, ওয়াসফিয়া নাজরিন গত ১৮ নভেম্বর সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চল দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার (ওশেনিয়া) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তনেজ পিরামিড জয় করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইন্দোনেশীয় পর্বতারোহী জশুয়া নোয়া। বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০১১ সালে ওয়াসফিয়া তাঁর সেভেন সামিট অভিযান শুরু করেন। ২০১২ সালে তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। ১৬ হাজার ২৪ ফুট উচ্চতার কারস্তনেজ পিরামিডের স্থানীয় নাম পুনাক জায়া। সেভেন সামিটের অংশ হিসেবে ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে ধরা হয় এটিকে। এটি ছিল সেভেন সামিটের ৭ নম্বর চূড়া জয়। এর আগে ওয়াসফিয়া নাজরীন আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমানজারো, এশিয়ার মাউন্ট এভারেস্ট, অ্যান্টার্কটিকার মাউন্ট ভিনসন, ইউরোপের এলব্রুস, উত্তর আমেরিকার মাউন্ট ডেনালি, দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকোংকাগুয়া পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন।
সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তনেজ পিরামিড জয় শেষে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পাঠানো এক বার্তায় ওয়াসফিয়া নাজরীন জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উদযাপনের জন্য তিনি ‘সেভেন সামিট’ অভিযান এবং এর প্রচারণা শুরু করেন। তিনি তাঁর এই ‘সাত পবর্তশৃঙ্গ জয়ের’ ঘটনাকে স্বাধীনতার চেতনার বিজয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা নারীদের বিজয় হিসেবে অভিহিত করে সেই নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেন। দেশে ফিরে নারী অধিকার আন্দোলন ও নারীদের জন্য পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া সেভেন সামিট অভিযানের সফলতায় চার বছর ধরে যাঁরা সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওয়াসফিয়া। এর আগে অ্যাক্টিভিস্ট ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের পাঠকদের ভোটে ‘অ্যাডভেঞ্চারার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি