রাঙামাটি শহরের ফিসারী ঘাট এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত

536

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটি শহরের ফিসারী ঘাট এলাকার দেলু পাড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মোঃ বাদশা মিয়া ও তার স্ত্রী ফারজানা গুরুতর জখম হয়েছেন। গত মঙ্গলবার (০২-১১-২০২১ইং) দুপুর ২টায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকবাসীর অভিযোগ ওই এলাকার বাসিন্দা স-মিল শ্রমিক আব্দুল জলীল (৬০) তার দুই ছেলে জমির ও মানিক এ হামলায় নেতৃত্ব দেয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “দুই পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ওইদিন সন্ধ্যায় আমি আহতদের দেখতে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে যাই।

আহত বাদশা মিয়াকে অনুরোধ করেছি বিষয়টি সামাজিক বিচারের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য। কিন্তু শুনেছি বাদশা মিয়া থানায় মামলা নিয়ে গেছেন।” হামলায় আহত এলাকাবসীরা জানান ঘটনার আগের দিন জলীলের বাসায় গাঁজা সেবনের গন্ধ পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাদশা মিয়া মাদক সেবনে নিষেধ করেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বিনা উস্কানিতে বাদশা মিয়ার স্ত্রী ফারজানার উপর জলীলের দুই ছেলে, ছেলের বৌ রুজি, নাতনি নিপা হামলা করে ব্যাপক মারধর করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে ফারজানার স্বামী বাদশা মিয়া ছুটে আসলে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে জলীল ও তার দুই ছেলে। তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এতে তার মাথা ফেটে মারাত্বক জখম। এ হামলা থেকে বাদশাকে বাঁচাতে এলাকবাসী ছুটে এলে তাদের উপরও হামলা চালায় জলীল পরিবার।

এতে নুর বানু বেগম, সুমি আক্তার, মল্লিকা বেগম, ফিরোজা বেগম ও তার স্বামী সামশুল আলম, সাজেদা বেগমসহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলার শিকার হয়ে আহত হয় সাব্বির আলম (১৩) ও আবু সায়িদ (৪) নামের দুই শিশু। হামলার শিকার মল্লিকা বেগম জানান, বিনা উস্কানিতে আব্দুল জলীল ও তার ছেলে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাদশা ও তার স্ত্রীর উপর হামলা করে এতে এলাকাবাসী তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়।

এলাকবাসী ফিরোজা বেগম অভিযোগ করেন, বাদশাকে পিটিয়ে জখম করার খবরে তার স্বামী সামশুল আলম এগিয়ে এলে জলীল ও তার ছেলেরা তাকেও পিটিয়ে আহত করে। তবে অভিযুক্ত জলীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চলাচলের রাস্তার উপর কাট শুকাতে দেয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারি হয় এতে তিনি নিজেও আহত হন। তার পরিবার হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি সহ তার স্ত্রী আহত হয়েছেন।

ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রবিউল আলম রবি জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির কথা শুনেছি। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে জায়গার সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। কোতয়ালী থানার এসআই জুলফিকার জানান, ফিসারী এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনায় বাদশা নামের একজন গুরুতর সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় আহত বাদশা বাদি হয়ে একটি মামলা নিয়ে থানায় এসেছে যাচাই বাছাই করে মামলা নেয়া হবে এবং তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।