সোহরাওয়ার্দ্দী সাব্বির
রাঙামাটি জেলার সাংবাদিকদের অংশ গ্রহণে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক ভার্চুয়াল (জুম অন—লাইন) কর্মশালা রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় রাঙামাটি ছাড়াও উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের সংবাদকর্মীরা অংশ নেন। দুই ঘন্টা ব্যাপী এ অনলাইন কর্মশালায় আলোচকরা পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগে ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রথাগত নেতৃত্ব হেডম্যান কার্বারী ও ধর্মীয় প্রধানদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল, ইউএসএইড —উজ্জীবন প্রকল্পের কনসালটেন্ড সোনিয়া রহমান ও এ এফ এম ইকবাল কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মশালায় বাল্য বিবাহের কারণ,কুফল, প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়। করোনাকালীন অতিমারীর সময়ে দেশের বাল্য বিবাহ বেড়ে যাওয়ার তথ্য প্রকাশ করে আগামীতে এ অবস্থা কমিয়ে আনতে জনমত সৃষ্টিতেও সাংবাদিকরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। কর্মশালায় দুই পর্বের আলোচনায়, বাল্য বিবাহ সম্পর্কে ধারনা, বাল্য বিবাহের সংজ্ঞা, বাংলাদেশে বাল্য বিবাহের চিত্র, করোনা কালীন বাল্য বিবাহের চিত্র, বাল্য বিবাহের কারণসমূহ, বাল্য বিবাহের পরিনতি, সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর বাল্য বিবাহের প্রভাব, বাল্য বিবাহের শাস্তি, বাল্য বিবাহ পরিচালনা করার শাস্তি, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যেঠস এবং সর্বোপরি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকা সম্পাদক আনোয়ার আল হক, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের প্রতিনিধি ফাতেমা জান্নাত মুমু ,কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবীর হোসেন, কর্মশালার সমন্বয়ক এটিএন বাংলার রাঙামাটি প্রতিনিধি পুলক চক্রবর্তী। আলোচকরা বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে পাহাড়ের প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন। তাই সে ভিন্ন অবস্থার কথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আমাদেও প্রত্যেকের অবস্থান থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োাজন। সম্মেলিত প্রচেষ্টায় পারেই বাল্য বিবাহ মুক্ত সমাজ গড়তে।
এর জন্য আওয়াজ তুলতে হবে এই বলে যে — বাল্য বিয়ে বন্ধে আমার মতো এগিয়ে আসেন আপনিও। আমরা সবাই যদি সচেতন থাকি,তাহলে কোনো অবস্থাতেই ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হবে না। বাংলাদেশ মানবাধিকার সংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কর্তৃক আয়োজিত এই কর্মশালায় রাঙামাটি ও নয় উপজেলার ৩৫ জন সাংবাদিক অংশ নেয়।