কাউখালিতে শান্তিপূর্ণভাবে ইউপি নিবাচন সম্পন্ন ॥ চারটির মধ্যে তিনটি আ’লীগের

394

॥ মোঃ ওমর ফারুক ॥

কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কাউখালী উপজেলা উৎসব মুখর পরিবেশে ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় ধাপের তফশিলের অংশ হিসেবে এই উপজেলার চারটি ইউনিয়নে রোববার (২৮ নভেম্বর) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আইন শ্ঙ্খৃলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে ভোট গ্রহণের সময় কোনো কেন্দ্রেই কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি।

এই উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে বরাবরের মতই এবারও তিন পরিষদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঝুলিতে ঢুকেছে। একটি ইউনিয়নে জিতেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবারে তিন ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে তিনজন তরুণ নেতা ও নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছে। তবে কলমপতি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ক্যাজাই মারমা চতূর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার পদ অর্জন করেন।

রোববার সকাল থেকেই মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে হাজির হয় এবং নিজ নিজ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য দিনভর ছুটাছুটি করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় কেউ অনিয়মের কোনো সুযোগ পায়নি, যে কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।

উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট ৩৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়নি। কারণ এই কেন্দ্রগুলোর সদস্যরাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। চার ইউপির মধ্যে দুইটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত দুই জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরা হলেন, কলমপতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ক্যজাই মারমা ও বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অংক্যজ চৌধুরী।

রোববার ভোট গ্রহণের দিন ঘাগড়া ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রাথী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দিন; তিনি ৬,৫৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জগদীশ চাকমা ঘোড়া প্রতীকে পান ৪ হাজার৪১ ভোট। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রাথী সুভাষ চাকমা আনারস প্রতীতে পান ৩ হাজর ১২৫ ভোট।
এদিকে ফটিকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রাথী উষাতন চাকমা আনারস প্রতীকে ২ হাজার ১৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লাথোয়াই মারমা নৌকা প্রতিকে পান ১,৩৪৪ ভোট।

বেতবুনিয়া ইউপিতে সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী করেন মোট ১৩জন, এ ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন ০৪জন সদস্য। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (মহিলা) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ০২জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন ০২জন। ফটিকছড়ি ইউপিতে সাধারন ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন মোট ২৩জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (মহিলা) সদস্যা পদে ০৭জন। ঘাগড়া ইউপিতে সাধারন ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন মোট ২১জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাধারন সদস্য নির্বাচিত হন ০১জন। আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (মহিলা) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন ০৮জন। কলমপতি ইউপিতে সাধারন ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন মোট ১৯জন। এই ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাধারণ সদস্য নির্বাচিত ০২জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (মহিলা) সদস্যা পদে প্রতিদ্বন্দ্বী করেন মোট ০২জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচিত হন ০২জন।