বাঙ্গালহালিয়ায় ইউপি নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে

369

॥ রাজস্থলী প্রতিনিধি ॥

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলাধীন ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অর্থের বিনিময়ে ভোট কারচুপির করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাজস্থলী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মলেন করেছে সদস্য পদপ্রার্থী মোতালেব হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মোতালেব হোসেন বলেন, আমি ক্ষমতাসীন দলের একজন সক্রিয় সদস্য। ২৮ নভেম্বর/২১ অনুষ্ঠিত ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাঙ্গালহালিয়া ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী হই। নির্বাচনে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পরিকল্পিতভাবে মোরগ প্রতিকের এজেন্ট আমার মেয়ে মরিয়ম আক্তার ময়নাকে মহিলা বুথ থেকে ডেকে নিয়ে আনুমানিক ১০/১৫ মিনিট পর্যন্ত পাশের পুরুষ বুথে নিয়ে বসিয়ে রাখে। এছাড়াও নির্বাচন শেষ হওয়ার অনেকক্ষণ পূর্বেই বেলা ১২ টার সময় প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) আবদুল করিম রেজাল্টশীটে সকল প্রার্থীর এজেন্টদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। যা সম্পূর্ণ বিধি বর্হিঃভূত কাজ। বেলা সাড়ে তিনটার সময় ব্যালট বই এবং ব্যালট বক্স নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার একা অন্য আরেকটি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে অন্য কেউ ছিলোনা। টিউবওয়েল প্রার্থীর কাছ থেকে আনুমানিক তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার সময় নির্বাচনে কর্তব্যরত লোকজন একটি টাকার বান্ডিল গ্রহণ করেন। এসবের প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন মোতালেব হোসেন।

নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভোট গণনাকালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আল মামুন নিজেই বুথের মধ্যে অবস্থান করছিলো এটার কতটুকু বৈধতা রয়েছে? ভোট গণনা শেষ করে একটি রেজাল্টশীট সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের এজেন্টদের দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি না করে কোনো রকম স্বাক্ষর না নিয়ে অবৈধ পন্থায় একটি রেজাল্টশীট বিদ্যালয়ের বারান্দায় টাঙ্গিয়ে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মোঃ মোতালেব হোসেন।

সম্মেলনে মোতালেব হোসেন আরো জানান, তার দলের একজন নেতার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো এলাকার আপামর মানুষের ভালোবাসা তার পক্ষে থাকলেও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র তিন ভোটের ব্যবধানে তাকে পরিকল্পিতভাবে হারানো হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মলনে দাবি করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামপুর এলাকার প্রবীণ সমাজ সেবক সামশুল আলম মেম্বার, জলিল মোড়ল, বালু মুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমূখ।