বছরের প্রথম দিনে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল

350

॥ মেহেদী ইমাম ॥

সরকারি ছুটি, শীতকালীন ভ্রমণ ও ইংরেজি নতুন বছর ঘিরে রাঙামাটিতে নেমেছে পর্যটকের ঢল। এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্তিম কাপ্তাই লেক, পলওয়েল পার্ক, সুবলং ঝর্ণা, অরণ্যকসহ জেলার সকল দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের বিচরণ ছিল লক্ষণীয়। সু-উচ্চ ফুরোমন পাহাড়েও ছিল ভ্রমণার্থীদের ঢল।

শনিবার বিকালে পর্যটন ঝুলন্ত সেতুতে দেখা যায় কয়েকশো দর্শনার্থীর ভীড়। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ভীড় করে ভ্রমণ পিপাসুরা। শুক্রবার সারাদিনও দর্শনীয় প্রতিটি স্থানেই ছিল পর্যটকদের ভীড়।
দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২বছর করোনায় লকডাউনে সারা দেশের মানুষ ঘরবন্দি। এতে অস্থির হয়ে পড়ে ভ্রমণ পিপাসুরা। এবার শীতে সরকারি ছুটি ও নতুন বছরকে স্বাগতম জানাতে ঘুরতে এসেছে তারা।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা তন্ময় নামে এক শিক্ষার্থী জানান, বাংলাদেশে অনেক দর্শনীয় জায়গা আছে। তবে রাঙামাটির প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য কাছে টানে দর্শনার্থীদের। তাই সুযোগ পেয়েই রাঙামাটি এসেছেন তিনি।
চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার থেকে বেড়াতে আসা স্বজল নামের এক ভ্রমণার্থী জানান, আমি সুযোগ পেলেই দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বেড়াতে যাই। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্য এলাকা থেকে রাঙামাটিতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে বেড়ানো যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরো জানান, চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকে গাড়িতে চড়ে ২থেকে আড়াই ঘন্টায় রাঙামাটি পৌঁছানো যায় অনায়াসে।

রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া জানান, করোনা মহামারির ভয়াবহতা কাটিয়ে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়ছে। শীতকাল ভ্রমণের মৌসুম। তাই পর্যটকদের উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় বাড়ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ দর্শনার্থীর উপস্থিতি থাকলেও বিদেশী পর্যটক নেই ২বছর। করোনা পর্যটন শিল্পে ফেলেছে মারাত্মক প্রভাব। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ও দর্শনার্থীদের করোনার ঝুঁকি রোধে প্রয়োজন অনুযায়ী জীবাণুনাশক এবং পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

শহরের হোটেল মোটেল গুলোতেও দর্শনার্থীদের লক্ষ্যনীয় উপস্থিতি দেখা গেছে। জেলা শহরে রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল ও মোটেল। শুক্র ও শনিবার মিলে আবাসিক হোটেল গুলো অনেক দর্শনার্থীদের সেবা দিয়েছে। হোটেল মালিকরা বলছেন এভাবে পর্যটক বাড়লে করোনার ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

রিজার্ভ বাজারের হোটেল গ্রীণ ক্যাসেলের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ শরিফুল আলম সুমন জানান, প্রায় ২বছর করোনার প্রভাব কাটিয়ে রাঙামাটিতে বাড়ছে পর্যটকের উপস্থিতি। এতে করে বিগত বছরের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি পর্যটকদের আরো উন্নত মানের সেবা দিতে। আশাকরছি এবছর দর্শনার্থী আরো বাড়বে।