রাঙামাটিতে হেডম্যান কার্বারীদের নিয়ে ৩দিনের পরোক্ষ পুষ্টি প্রশিক্ষণ

613

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

পার্বত্য এলাকার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে পুষ্টি সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী তৃণমূল নেত্বেত্বের ধারক হেডম্যান কার্বারীদের নিয়ে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনের ‘পুষ্টি পরোক্ষ কর্মসূচি বিষয়ক’ মৌলিক প্রশিক্ষণ। রাঙামাটি জেলার আট উপজেলা থেকে ৩২জন হেডম্যান কার্বারী এই প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।

পার্বত্য তিন জেলার তৃণমূল পর্যায়ে পুষ্টি নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডারশীপ এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন(লীন) এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক আহ্বায়ক সবির কুমার চাকমা (বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। তিন দিনের প্রশিক্ষণ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে সমাপ্ত হয়।

প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদের মানুষের মাঝে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও পুষ্টির মৌলিক ধারণা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই মূলত: তৃণমূলের এই নেতৃবৃন্দকে তিনদিনে মধ্যে পুষ্টির মূল ম্যাসেজগুলো শিখিয়ে দেওয়া হবে বলে আয়োজক সূত্রে জানানো হয়।

এই কর্মশালাটি প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট (বারটান) এর প্রশিক্ষকবৃন্দ এবং রাঙামাটি জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি সদস্যবৃন্দ তথা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও কৃষি বিষয়ক কর্মকর্তাগণ।

কর্মশালায় জানানো হয়, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান রেখেই সতর্কতার সাথে তাদের খ্যদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। পাহাড়ের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী এখনও পুষ্টিহীনতা ও রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে উল্লেখ করে প্রশিক্ষকগণ বলেন, এই ঘাটতির মূল কারণ পুষ্টি বিষয়ে জনগণের মাঝে জানার স্বল্পতা ও সচেতনতার অভাব এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ না করা। এই ঘাটতি দূর করতে বিশেষ কোনো খাদ্যের প্রয়োজন নেই বরং ফলিত পুষ্টির ব্যবহার বা তাদের হাতের কাছে থাকা খাদ্য সামগ্রীর পরিকল্পিত ব্যবহার এবং আহারই যথেষ্ট। এ জন্য তাদেরকে জানাতে হবে তাদের নিজেদের উৎপাদিত কোন খাদ্য সামগ্রীগুলো কখন কিভাবে খেতে হবে এবং কত মাত্রায় খেতে হবে।

লীন প্রকল্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড়ের মানুষের পুষ্টি সচেতনতা অতীব জরুরী বলেই তিন পার্বত্য জেলায় ১৮টি উপজেলায় বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে লীন প্রকল্প। হেডম্যান কার্বারীদের মাঝে পুষ্টির ধারণা স্পষ্ট হলে তারা দুর্গম অঞ্চলে পুষ্টি বিষয়ক জাতীয় কর্মসূচির কাজ সহজতর করতে উল্লেখযোগ্য ভ’মিকা রাখতে সক্ষম হবে।