বাঘাইছড়ির আট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হলেন যারা

400

॥ সালাউদ্দীন শাহীন ॥

৭ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তেমন কোনো অভিযোগ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৮ ইউনিয়নের ৭৭টি কেন্দ্রে ভো কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ আরম্ভ হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। ৮ ইউনিয়নের ৭৭টি কেন্দ্রের সবকটি কেন্দ্রকে প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও প্রশাসনিক দৃঢ়তায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকেই কেন্দ্র সমূহে কঠোর অবস্থান নেয় প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, বিজিবি, আনসার, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় র‌্যাবের একটি ইউনিট।

রাতে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায় এই উপজেলার মাত্র ১টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রাথী বিজয়ী হন। তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ছিলেন। তিনি হলেন বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের অলিভ চাকমা। একইভাবে রূপকারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রাথী জ্যাসমিন চাকমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ছিলেন। অবশিষ্ট ইউনিয়নগুলোর মধ্যে মারিশ্যা ইউনিয়নে- আপন চাকমা, খেদারমারা ইউনিয়নে- বিল্টু চাকমা, আমতলী ইউনিয়নে- মজিবর রহমান, সারোয়াতলী ইউনিয়নে- ভুপতি রঞ্জন চাকমা, বঙ্গলতলী ইউনিয়নে- জ্ঞান জ্যোতি চাকমা এবং সাজেক ইউনিয়নে- অতু লাল চাকমা বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন।

সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা মাথায় রেখে সব ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই নির্বাচনে ৮ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক ৫ জন ও স্বতন্ত্র পার্থী ১৪ জন চেয়ারম্যান পার্থী, সাধারণ সদস্য পার্থী ১৬২, সংরক্ষিত আসনে ৬৫ জন পার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক ১ ও স্বতন্ত্র ১ চেয়ারম্যান পার্থীসহ মোট ১৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হছন। এই নির্বাচনে বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৭৭টি কেন্দ্রে ১৯৬টি বুথে মোট ৬১ হাজার ৭ জন ভোটার ভোট দেওয়ার কতা ছিল, তবে কর্ত শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। উপজেলায় নারী ভোটার ২৮ হাজার ৯৫০ জন এবং পুরুষ ভোটার ৩২ হাজার ৬৫ জন।