যথাযোগ্য মর্যাদায় রাঙামাটিতে মহান শহীদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবস পালন

336

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

মহান শহীদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্য সহকারে অমর একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছে রাঙামাটির সর্বস্তরের জনসাধারণ। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মানতে শহীদ মিনারে লোক সমাগমে বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করা হয়।

শনিবার ২০শে ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার পর থেকে রাঙামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হতে থাকেন জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী, রাজনৈতিকদল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনসাধারণ। রাত বারোটায় একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদিতে প্রথম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পু®পমাল্য অর্পণে অংশগ্রহণ করে। এরপরই শহীদদের স্বরণে রাঙামাটি জেলা পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পন করে পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগণ, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ, পুনাক ও পুলিশের অন্যান্য উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির নেতৃত্বে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান।এর আগে ডিসি-এসপির শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই ভাষা শহীদদের স্বরণে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংশৈ প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, রাঙামাটি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের মধ্যে দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ রাঙামাটি বিভিন্ন সরকারী দপ্তর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।

এদিকে রাঙামাটির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল কলেজসহ সরকারী-বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভোর অবধি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের স্মরণে রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এসময় একুশের প্রথম প্রহরে অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র“য়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ বাজানো হয়।

সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে প্রভাত ফেরীর আয়োজন করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।