৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার চিরন্তন উৎস: দীপংকর

505

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দিপংকর তালকদার এমপি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের নয়, বিশ্বের সকল স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে। একটি ভাষণ কিভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। তাই এই ভাষণ কালোত্তীর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘একজন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র হতো না; বা বাঙালি জাতি স্বাধীন হতে পারতো না। তেমনি একজন শেখ হাসিনা না হলে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হতো না বা উন্নয়নশীল দেশেও উন্নীত হতো না’। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঋণ যেমন বাঙালি জাতি কোনোদিন পরিশোধ করতে পারবে না, তেমনি শেখ হাসিনার কথাও বাংলাদেশ কোনোদিন ভুলতে পারবে না।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙামাটি জেলা শাখা ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এমপি এই মন্তব্য করেন। সোমবার জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফিকুল মাওলা, প্রচার সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, কৃষকলীগ সভাপতি জাহিদ আক্তার, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনছুর আলী, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আশীষ কুমার চাকমা নব, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুল আলম, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহ জাহান, যুব-মহিলালীগের সভাপতি রোকেয়া আক্তার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার সুজন বক্তব্য রাখেন।

সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে ভাষণ ছিল বাঙালী জাতির মুক্তির দিক নির্দেশনা। এই ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালী উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিমিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

আগে জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যলয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে, ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।