নানিয়ারচরে হানিকুইন আনারসের বাম্পার ফলনে খুশী স্থানীয় চাষিরা

318

॥ মেহেদী ইমাম ॥

রাঙামাটির নানিয়ারচরে হানিকুইন জাতের আনারসের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় আগের বছরের তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় খুশি চাষিরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও সিলেটসহ দেশের বাজারগুলোতে ব্যপক সরবরাহ হচ্ছে এই মৌসুমি ফল।

কৃষি বিভাগ জানায়, নানিয়ারচরের মাটি আনারস চাষের উপযুক্ত হওয়ায় বছর জুড়ে এই ফলের আবাদ হয়। এবার ১৩শ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আনারসের। উৎপাদিত এসব আনারস জীপ, মিনি ট্রাক ও ট্রাকে করে প্রতিনিয়ত পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে।

স্থানীয় চাষিরা জানায়, আঞ্চলিক দলগুলোর চাঁদা ও স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন জিনিসপত্রের বাড়তি দামসহ নানান কারণে চাষিদের আনারস উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণে বাড়তি টাকা খরচ গুণতে হচ্ছে।

নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অ.দা.) আবু মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রযুক্তিগত সহায়তায় নানিয়ারচরে বেড়ে চলেছে এই চাষ। পাহাড়ে আনারস চাষ ভূমিধ্বস কে তরান্বিত করে কিনা জানতে চাইলে এই কৃষিবিদ জানায়, আমরা পাহাড়ে আনারস চাষে উন্নত পদ্ধতি অবলম্বনে উদ্যোগ নিয়েছি। আড়াআড়িভাবে পাহাড়ে আনারস চাষ করলে ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা কম হয়। আমরা এই পদ্ধতিতে আনারসের চারা রোপনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।

নানিয়ারচর মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ফসল ভালো হলেও পরিবহণ খরচ এবং দেশের দ্রব্য মূল্যের বাজার ভালো না হওয়ায় আনারসে নায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
চাষিদের দাবি আনারস চাষকে কেন্দ্র করে যদি জ্যুস ফ্যাক্টরি, হিমাগার ও আনারসের চিপস উৎপাদনে উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে এই এলাকার চাষিদের জীবন মান উন্নয়ন হবে। ফলে এই এলাকার মানুষের অর্থনীতির চাকা ঘুরে যাবে।