॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে প্রথমে প্রেস কাউন্সিলে যাওয়ার বিধান রাখা উচিত। এতে সাংবাদিকরা গ্রেফতার ওহয়রানী থেকে কিছুটা রেহাই পাবে বলে মত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানী করা হলে প্রয়োজনে প্রেস কাউন্সিল আইনি সহায়তা দিবে।
শনিবার (৪ জুন) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মত ব্যক্ত করেন। প্রস কাউন্সিল আইন, তথ্য প্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা বিষয়ে রাঙামাটিতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ শাহালমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের প্রাক্তণ সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ প্রমূখ। কর্মশালায় ৪০জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম তথ্য প্রযুক্তি আইনের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যাবহার ও অনলাইন পোর্টালের দৌরাত্ব কমাতে তথ্য প্রযুক্তি আইনের প্রয়োজন আছে। তবে এ আইনে আসামীকে জামিন দেয়া যাবে বলে না যে বিধান আছে তার সাথে দ্বিমত করে তিনি বলেন, এটি সংশোধন করা প্রয়োজন। একই সাথে তথ্যমন্ত্রীর দেয়া ঘোষণা “এ আইনে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা যাবে না” তা বাস্তবায়নেরও আহবান জানান প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান।
বিচারপ্রতি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের পরিপূরক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের সম্মান করতেন। যে কারণে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল আইন বাস্তবায়ন করেন। সে লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। আর সাংবাদিকরা কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সাংবাদিকতার অপব্যহার হচ্ছে। তাদের অনেকে সাংঘাতিক কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের মান রক্ষা করতে হলে নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন আছে। সাংবাদিকতা পেশার সম্মান এখন আগের মতো নেই। প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করছে। সাংবাদিকদের ডাটা বেজ তৈরী করছে। সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম গ্রাজ্যুয়েশ থাকতে হবে। তবে তা পাচঁ বছর আগে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে নয় বলে তিনি জানান।
কর্মশালায় রাঙ্গামাটিতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪২ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।