রাঙামাটি শহরের শরিয়তপুরে কবরস্থান দখলের অভিযোগ

351

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটি জেলা শহরের রিজার্ভ বাজারের শরিয়তপুরে জোরপূর্বক কবরস্থান দখলের অভিযোগ জানিয়েছে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ মো. আলমগির হোসেন নামের এক ব্যাক্তি ক্ষমতার জোরে এলাকার কবরস্থান দখলের চেষ্টা করছেন। জানা যায় সে পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হেলাল উদ্দীনের আপন বড় ভাই।

রোববার বিকেলে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানায়- প্রায় ২ বছর আগে লঞ্চ মেরামতের জন্য আলমগির হোসেন মসজিদ কমিটি থেকে কবস্থানের একটি অংশ মাসে ২হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। তারপর লঞ্চ মেরামতের কাজে আসা শ্রমিকদের জন্য মসজিদের পরিত্যাক্ত টিন ও কাঠ দিয়ে একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে। কিছুদিন পূর্বে প্রায় ২বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও সে ভাড়া প্রদান না করায় বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এদিকে আলমগিরের বানানো ঘরটি ভেঙ্গে পরায় মসজিদের কাঠ ও টিন মসজিদ কমিটি নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর শনিবার কোতয়ালি থানা থেকে পুলিশ নিয়ে শরিয়তপুরে হাজির হন আলমগীর। এসময় সে দাবি করে কবস্থানের যে জায়গাটি লঞ্চ মেরামতের জন্য সে ভাড়া নিয়েছিলো সেটি তার জায়গা। আলমগীরের অভিযোগ কে বা কারা তার নি ঘর ভেঙ্গে জিনিপত্র নিয়ে গিয়েছে। পরে ঐদিন সন্ধ্যায় কতোয়ালি থানায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।

এরপর আলমগীর ও প্যানেল মেয়র এলাকাবাসীকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করে যার ফলে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় আছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

এবিষয়ে আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়- আমার লঞ্চ মেরামতের জন্য যে ঘরটি বানিয়েছিলাম সেটি কে বা কারা ভেঙে নিয়ে গেছে এবিষয়ে আমি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২জন পুলিশ অফিসার সহ আমি শরিয়তপুর গিয়েছিলাম আসলে জায়গা দখলের যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আর জায়গা ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কানু বাবুর কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়েছি মসজিদ কমিটি থেকে না।

অপরদিকে এঘটনার সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে সোমবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দীন তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।