কাপ্তাই হ্রদের ঘোনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে: দীপংকর তালুকদার

191

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদ হতে আহরিত মিঠাপানির মাছ দেশের পুষ্টি চাহিদার বিশাল অংশের যোগান দিচ্ছে। তবে এতে আত্মতৃপ্তিতে ভূগলে হবে না। কারণ হ্রদের এই বিশাল জলরাশি আমাদের জন্য এক অমূল্য সম্পদ; এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য হ্রদের ঘোনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে মাছ চাষের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। হ্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যমান পুকুর ও খাঁচায় মাছ চাষে চাষিদের উৎসাহিত করা উপর জোর দেন তিনি। এমপি বলেন, মনে রাখতে হবে এই হ্রদ সৃষ্টির সময় এলাকাবাসীর যে ক্ষতি হয়েছে তা জাতির প্রতি তাদের অবদান। এই অবদান মনে রেখে হ্রদকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগানোর এখনই সময়।

সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্ত, আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসনে, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য ও মৎস্য বিষয়ক আহবায়ক আব্দুর রহিম ও বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপক কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পুরণ, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত হিসেবে মৎস্যখাতকে চিহ্নিত করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার সকলের অংশগ্রহণে মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আর সুস্থ-সবল ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে নিরাপদ আমিষের অবদান অনস্বীকার্য। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। র‌্যালীশেষে এমপি বেলুন উড়িয়ে সপ্তাহের শুভ সূচনা করেন। মৎস্য সপ্তাহ ঘিরে তিনি কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। আলোচনা সভা শেষে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও কাপ্তাই উপজেলার ৩ জন সফল চাষীকে পুরস্কৃত করা হয়।