॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। দেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এই সংখ্যা জানানো হয়েছে; এর মধ্যে মুসলমান ৯১.০৪ শতাংশ। বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের সব বিভাগেই মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। সেই সাথে প্রায় সব বিভাগেই কমছে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা।
২০২২ সালের শুমারি অনুযায়ী দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৭.৯৫ শতাংশ, বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.৬১ শতাংশ। খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.৩০ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.১২ শতাংশ।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।
সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।
প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যা ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে ছিলো ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।
২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিলো ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিলো ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিলো ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিলো ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১ সালের ২৮ জুন পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত ‘স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক ২০২০’ নামক এক প্রকাশনায় জানানো হয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট জনসংখ্যা রয়েছে ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩০। সেই সময় আরো জানানো হয়েছিল যে, এর আগে ২০২০ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার জন।